"আনাতোলিয়া হতে আন্দালুসিয়া" বইটির 'আমার কথা' অংশ থেকে নেয়াঃ দেশ বিদেশ ঘুরতে আমার বেশ ভালাে লাগে। যে সব দেশে গিয়েছি সুযােগ পেলেই ওই সব দেশের ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানগুলাে দেখবার চেষ্টা করেছি। এটা আমার এক ধরনের নেশা। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছােটখাটো জায়গাও দেখতে অনেক দূর গিয়েছি কিন্তু কখনই মনে করিনি যে ভ্রমণকাহিনী লিখতে পারব। যে কয়টি বই আমি আগে লিখেছি সবই ছিল বিষয়ভিত্তিক। প্রথম ভ্রমণকাহিনী লিখলাম যখন আমি ২০০৯ সালে ভারতের দিল্লি-আগ্রা-জয়পুর-আজমির শরীফে বেড়াতে যাই। ভারত উপমহাদেশের ইতিহাস আমাকে খুব প্রভাবিত করে। সেই ছিল আমার প্রথম ভ্রমণকাহিনীর সাথে ইতিহাসে সংমিশ্রণের প্রথম প্রয়াস, কত জনপদ কত ইতিহাস। বইটি পাঠক দ্বারা সমাদৃত হওয়াতে পর পর কয়েকটি ভ্রমণ কাহিনী লিখেছি। সর্বশেষ প্রয়াস এখনকার এই ভ্রমণকাহিনী ‘আনাতােলিয়া হতে আন্দালুসিয়া’। আমরা কয়েকজন মিলে ভ্রমণ করেছিলাম সাত শত বছরের মুসলমানদের ইউরােপে শাসনকালের নিদর্শনগুলাে দেখতে। আইবেরিয়ান পেনিনসুলা বলে ঐতিহাসিক অঞ্চল, যা বর্তমানের স্পেন এবং পর্তুগাল ছিল মুসলমানদের শাসনে। ওই অঞ্চল ছিল মুসলমানদের অন্যতম বিজয়। তারেক বিন জিয়াদের জিব্রাল্টার জয়ের সময় হতে বােয়াবদিনের আল হামবারা প্রাসাদ ছাড়া পর্যন্ত খণ্ড চিত্র রয়েছে এই ভ্রমণ কাহিনীতে। চেষ্টা করেছি ঐ অঞ্চলের ইতিহাসের খণ্ডচিত্র তুলে ধরতে। তুলে ধরেছি আনাতােলিয়া, বর্তমান তুরস্ক তথা ইস্তাম্বুলের চিত্রও। এর কারণ আমার এযাত্রা শুরু হয়েছিল আজকের তুরস্কের ইস্তাম্বুল ইতিহাসের কনস্টেনটিনােপল হতে।
Brigedier J.M. Sakaoat Hosen Ret. ১৯৪৮ সনের ১ ফেব্রুয়ারি বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৬ সনে তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন এবং দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রায় দু’বছর পাকিস্তানের বন্দি শিবিরে কাটিয়ে ১৯৭৩ সনে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন এবং ১৯৭৫ সনের ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় ৪৬ ব্রিগেডে স্টাফ অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ১৯৭৯-৮১ সনে ঢাকায় সেনাসদরে গুরুত্বপূর্ণ পদে অপারেশন ডাইরেক্টরেট নিয়োজিত হন। পরে তিনি ব্রিগেডের অধিনায়ক হিসেবে দুটি ইনফেনট্রি ব্রিগেড ও একটি আর্টিলারি ব্রিগেডের অধিনায়ক ছিলেন। লেখক বাংলাদেশের ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ কৃতিত্বের সাথে সম্পন্ন করে দ্বিতীয়বারের মত আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিখ্যাত ইউ এস এ কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ জেনারেল কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। তিনি পাকিস্তানের ন্যাশনাল ডিফেন্স এ ডি সি ইসলামাবাদ ইউনিভার্সিটির তত্ত্বাবধানে স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে মাস্টার্স এবং ২০১১ সনে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস্, ঢাকা থেকে এমফিল ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি দেশী-বিদেশী বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে নিরাপত্তা, ভূ-রাজনীতি এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষণধর্মী কলাম ও বইয়ের লেখক হিসেবে অধিক পরিচিত। এ পর্যন্ত তার তেইশটি বহুল পঠিত বই প্রকাশিত হয়েছে। তা ছাড়া দেশী-বিদেশী ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নিরাপত্তা ও ভূ-রাজনীতি এবং নির্বাচন বিষয়ে বিশ্লেষক হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত। ২০০৭ সনের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১২ সনের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ বছর তিনি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার রয়েছে। ২০০৮ সনের জাতীয় এবং স্থানীয় সরকারের পাঁচ হাজারের বেশি নির্বাচন অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতা।