লক্ষ্য ছিল ডাক্তার হবেন। তাই কলকাতার পাঠ শেষে পাড়ি জমালেন বিলেতে। ভর্তিও হলেন ডাক্তারিতে। না সেই স্বপ্ন তার পূরণ হয়নি। ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়লেন। ঘটল চরম স্বাস্থ্যহানি। সেই সঙ্গে হলো সেবক হওয়ার স্বপ্নভঙ্গ। বিলেত থেকে কী হাতে ফিরবেন? সিদ্ধান্ত নিলেন ন্যাচারাল সায়েন্স পড়বেন। তাই ভর্তি হলেন ক্যামব্রিজে। সেখান থেকে ১৮৮২ সালে পদার্থবিদ্যায় সম্মানসহ বিএ পাস করলেন। দু'বছরান্তে লন্ডন ইউনিভার্সিটি থেকে বিএসসি ডিগ্রি নিয়ে বেরুলেন। কিন্তু জগদীশের পরিচিতিটা আমাদের কাছে উদ্ভিদবিজ্ঞানী হিসেবেই বেশি। কেন? উদ্ভিদের প্রাণ ও সংবেদনশীলতা নিয়ে বেশ কাজ করেছিলেন বিক্রমপুরের এই বিজ্ঞানী। প্রচলিত আছে জগদীশচন্দ্র আবিষ্কার করেন, গাছেরও প্রাণ আছে! এটা ভুল ধারণা। তাহলে জগদীশের আগে গ্রেগরি মেন্ডেল আর চার্লস ডারউইন কী করেছিলেন? গাছের প্রাণ না থাকলে মেন্ডেল কী করে মটরশুঁটির বংশগতি নিয়ে গবেষণা করলেন? আর ডারউইন- ই বা কী করে প্রবর্তন করলেন তার বিবর্তনবাদ? না, জগদীশ গাছের প্রাণ আবিষ্কার করেননি। বরং আবিষ্কার করেছেন আরও বেশি কিছু। উদ্ভিদও যে উদ্দীপনায় সাড়া দেয়-এ তথ্য তার আগে কেউ উপলব্ধি করেননি, প্রমাণ করতে পারেননি। তাই পদার্থবিজ্ঞানে তার অনস্বীকার্য মৌলিক অবদান থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষামূলক পদার্থবিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু আমাদের কাছে উদ্ভিদবিজ্ঞানী হিসেবেই বেশি পরিচিত। বলা বাহুল্য, উদ্ভিদ গবেষণাতেও তিনি পদার্থবিদ্যা প্রয়োগ করেছিলেন! হ্যাঁ, জগদীশ বসু হচ্ছেন পৃথিবীর প্রথম বায়োফিজিসিস্ট। তিনি উদ্ভিদের শারীরবৃত্ত সম্পর্কে গবেষণা করেছেন পদার্থবিদ্যার প্রয়োগ ঘটিয়ে।
যে ক’জন তরুণ লেখক অল্প সময়ে পাঠক মহলে জায়গা করে নিয়েছেন শামসুজ্জামান শামস তাদের মধ্যে অন্যতম। ২১ জানুয়ারি ঢাকায় জন্ম নেয়া এ লেখক পেশায় সাংবাদিক । পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি লেখালেকি চালিয়ে যাচ্ছেন শামস। ১৯৯৫ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৯৫। বিরহের নীল আকাশ, মেয়েরা এমনই হয়, মেঘ ভাঙা রোদ, মন দিয়েছি তোমায়, মনময়ূরি, চাওয়া পাওয়া, একাত্তরের আলাল-দুলাল উপন্যাসের মাধ্যমে পাঠক প্রিয়তা অর্জনকারী এ লেখক বহুল প্রচারিত একটি জাতীয় দৈনিকে সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক এবং পাক্ষিকের ঈদ সংখ্যায় গল্প, উপন্যাস এবং নানা বিষয়ের ওপর ১৯৯৫ সালে থেকে লিখছেন অবিরাম।