"ঈমান সবার আগে" বইয়ের সূচীপত্র: ঈমান ও এর অপরিহার্য অনুষঙ্গ.......৭ ঈমান ওহীর মাধ্যমে জানা সকল সত্যকে সত্য বলে বিশ্বাস করার নাম.......৮ ঈমান অবিচল বিশ্বাসের নাম.......৮ কোনাে বিষয়কে শুধু আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি আস্থার ভিত্তিতে মেনে নেয়ার নাম ঈমান.......৯ ঈমান সত্যের সাক্ষ্যদান এবং আরকানে ইসলাম পালনের নাম.......১২ ঈমান অর্থ সমর্পণ.......১৪ ঈমান শরীয়ত ও উসওয়ায়ে হাসানাকে গ্রহণ করার নাম.......১৫ ঈমান শুধু গ্রহণ নয়, বর্জনও, সত্যকে গ্রহণ আর বাতিলকে বর্জন.......১৭ আস্থা-ভালােবাসা ও ভক্তি-শ্রদ্ধা ছাড়া ঈমান হয় না; বিদ্রুপ ও অবজ্ঞা অস্বীকারের চেয়েও ভয়াবহ কুফর.......২১ অবজ্ঞা ও বিদ্রুপ বিরাগবিদ্বেষের চেয়েও হীন ও ভয়াবহ.......২৩ মুনাফিকদের কাছে আল্লাহর দ্বীন, আল্লাহর ইবাদত ও আল্লাহর আহকাম অতি অপছন্দনীয়.......২৮ আল্লাহর নাযিলকৃত কিতাব এবং তাঁর প্রদত্ত শরীয়ত অপছন্দ করা কুফরী। যে এই কুফরীতে লিপ্ত ব্যক্তিদের কিছুমাত্র সমর্থন করবে সে মুরতাদ.......২৯ ঈমান একটি একক, এতে বিভাজনের অবকাশ নেই.......৩০ ঈমানী আকাইদ ও আহকাম স্পষ্টভাবে ঘােষিত ও গােটা উম্মাহর দ্বারা প্রজন্ম পরম্পরায় প্রবাহিত, এতে বিকৃতি ও অপব্যাখ্যা অস্বীকারেরই এক প্রকার.......৩৩ দিল ও যবানের একাত্মতা ঈমান। এতে নেফাকের কোনাে স্থান নেই.......৩৫ ঈমান একটি স্থায়ী অঙ্গিকার, ‘ইরতিদাদ’ সাধারণ কুফরের চেয়েও ভয়াবহ কুফর.......৩৬ ঈমানের সবচেয়ে বড় রােকন তাওহীদ, শিরক মিশ্রিত ঈমান আল্লাহর কাছে ঈমানই নয়.......৪১ ঈমানের দাবি, মুয়ালাত ও বারাআত ঈমানের ভিত্তিতেই হবে.......৪৫ সহযােগিতা করা না-করার মানদণ্ড.......৫২ ঈমান অতি সংবেদনশীল, মুমিন ও গায়রে মুমিনের মিশ্রণ তার কাছে সহনীয় নয়.......৫৩ ঈমান পরীক্ষার উপায়.......৫৬ ক. আমার মাঝে কোনাে কুফরী আকীদা নেই তাে?.......৫৭ খ. আমার মধ্যে নিফাক নেই তাে?.......৫৮ গ. শাআইরে ইসলামের বিষয়ে আমার অবস্থান কী?.......৫৮ ঘ. আমার অন্তরে অন্যদের শাআইরের প্রতি ভালবাসা নেই তাে?.......৫৯ ঙ. পছন্দ-অপছন্দের ক্ষেত্রে আমার নীতি উল্টা না তাে?.......৬১ চ. নিজের ইচ্ছা বা পছন্দের কারণে ঈমান ছাড়ছি না তাে?.......৬৩ ছ. আল্লাহকে হাকিম ও বিধানদাতা মেনে নিতে আমার মনে। কোনাে দ্বিধা নেই তাে? (নাউযুবিল্লাহ).......৬৮ জ. আমি সাবীলুল মুমিনীন থেকে বিচ্যুত হচ্ছি না তাে?.......৭৫ দল ও দলনেতা আখেরাতে কাজে আসবে না.......৭৫ তওবার দরজা খােলা আছে.......৭৫
Mawlana Muhammad Abdul Malek (জন্মঃ ১৯৬৯) বাংলাদেশের একজন ইসলামী ব্যক্তিত্ব। তিনি ঢাকার ইসলামী গবেষণামূলক উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মারকাযুদ্ দাওয়াহ আল ইসলামিয়ার উলূমুল হাদীস অনুষদ এবং রচনা ও গবেষণা বিভাগের প্রধান এবং মাসিক আলকাউসারের তত্ত্বাবধায়ক। এছাড়াও তিনি ২০১২ সালে সরকারের গঠিত বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশনের সদস্য এবং হাদীসশাস্ত্রের বিশেষজ্ঞ গবেষক ও পণ্ডিৎ ব্যক্তিত্ব। তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় চাঁদপুর শাহরাস্তির খেড়িহর কওমি মাদ্রাসায়। সেখানে তিনি মিশকাত জামাত পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন। এরপর তিনি পাকিস্তানের করাচিতে বিনোরি টাউন জামিয়াতুল উলুম আলইসলামিয়ায় ভর্তি হন। ১৯৮৮ সালে তিনি সেখানে তাকমীল ( ইসলামিক স্টাডিজ-এ মাস্টার্স সমমানের ডিগ্রি) সমাপন করেন। এরপর তিনি ঐ জামিয়াতেই মাওলানা আব্দুর রশীদ নোমানীর তত্ত্বাবধানে তিন বছর হাদীসশাস্ত্রে উচ্চতর শিক্ষা (তাখাসসুস ফিল হাদীস) গ্রহণ করেন এবং ১৯৯১ সালে তাখাসসুস ফিল হাদীস সমাপন করেন। এরপর তিনি দুই বছর করাচির দারুল উলুম মাদ্রাসায় মুফতি তাকী উসমানীর তত্ত্বাবধানে ফিকহ এবং ফতোয়া বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা ( তাখাসসুস ফিল ইফতা ) গ্রহণ করেন এবং ১৯৯৩ সালে তাখাসসুস ফিল ফিকহ ওয়া আল-ইফতা সমাপন করেন। পরবর্তীতে তিনি সৌদি আরবের রিয়াদে আল্লামা আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ-এর তত্ত্বাবধানে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত প্রায় আড়াই বছর হাদীসশাস্ত্রসহ বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণার কাজ করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি ঢাকায় উচ্চতর ইসলামি শিক্ষা ও দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান মারকাযুদ্ দাওয়াহ আলইসলামিয়া যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাসচিব এবং উলুমুল হাদীস অনুষদের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৫ সাল থেকে মারকাযুদ্ দাওয়াহ আলইসলামিয়ার মুখপত্র হিসাবে মাসিক মাসিক আলকাউসারের প্রকাশনা শুরু হয় এবং তখন থেকেই তিনি এই ম্যাগাজিনের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।এছাড়াও তিনি ঢাকার শান্তিনগরের আজরুন কারীম জামে মসজিদে জুমার নামাজের পরিচালনা করেন এবং জামিয়াতুল উলুম আলইসলামিয়া কওমি মাদরাসায় হাদীসশাস্ত্রে অধ্যাপনা করেন। তিনি ২০১২ সালে সরকার গঠিত বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশনের একজন সদস্য।