"আল - কোরআনের মারেফত তত্ত্ব" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ আল্লাহ রাব্বল আলামীনের দরবারে লক্ষ-কোটি শােকরিয়া, প্রিয়নবী (দ.) এবং তাঁর পবিত্র আহলে বাইতের প্রতি অগণিত দরূদ ও সালাম এবং তরীকতপন্থী সকল উলামা-মাশায়েখ, পীর-আউলিয়া ও আশেকানদের প্রতি সালাম ও আন্তরিক মােবারকবাদ। আশেকের আশেকী ধর্ম, তত্ত্বদর্শন, প্রেমভক্তির মার্গসহ নিরন্তর সালাত প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পরমসত্তা ও জগদ্গুরু মুহাম্মদ (দ.)-এর প্রেমের তরিকা কাবে মােজ্বাররাদ, ইশকে রাসুল, আদব খেদমত, আদল মিনহাজ, নূরতত্ত্ব শাবান তহুরা, উচ্চ মাকামে অধিষ্ঠিত হওয়ার এই সর্বোকৃষ্ট পন্থা সম্বলিত গ্রন্থ আল-কোরআনের মারেফত তত্ত্ব। প্রিয় নবী (দ.) ফরমান? ‘আশ শরিয়াতাে আক ওয়ালী, আত তরিকাতাে আফওয়ালী আল হাকিকাতাে আহওয়ালী, আল মারেফাতু আসরারী’ সরল তরজমা : ‘শরিয়ত হচ্ছে আমার বাণীসমূহ। তরিকত হচ্ছে আমার কার্যাবলি, হাকিকত হচ্ছে আমার হাল অবস্থাসমূহ, মারেফত হচ্ছে আমার গুপ্ত রহস্য। -হাদিসে কুদসী॥ এলমে তাসাওফ তথা মরমীবাদ পবিত্র কোরান হাদিস থেকেই উদ্ভূত। এর বাইরে থেকে নয়। কিন্তু কতিপয় ধর্ম বেপারী, কাটমােল্লা, শকুনিমামা, বিড়াল তপস্বীদের ভণ্ডামীর নিচে চাপা পড়ে আল-কোরআনের মারেফত তত্ত্বের শিক্ষা এখন জঙ্গীবাদ-মৌলবাদের রূপ পরিগ্রহ করে ধর্মান্ধতার আদলে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের জন্য আল্লাহর পরিবর্তে নিজের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার অভিপ্রায়ে মগ্ন। প্রকৃত ইসলাম অর্থাৎ শান্তির ধর্ম থেকে খারিজ হয়ে নবীর আদর্শ বিচ্যুত হয়ে ইয়াজেদী-নজদী-মওদুদী আক্বিদার দালালরা আজ পৃথিবীর সর্বত্রই ধর্মের নামে জঙ্গীবাদ, মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদের নামে হেরাপর্বতের গুহায় নবীর ধ্যানমগ্নতার প্রথম পাঠের আশেকী কালবের ওপর ছুরি চালিয়ে সুফিতত্ত্ব ও ইলমে মারেফতকে মনগড়া অনুবাদ ও বহু আয়াতকে পাশ কাটিয়ে পবিত্র কোরআন থেকে মারেফতের শিক্ষাকে মুছে ফেলার যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে তাদের ষড়যন্ত্র আজ পদে পদে মার খেয়ে চলেছে। বিশ্বের নবীপ্রেমী মুসলিম, ইসলামের প্রকৃত দিশারী আলেম-ওলামা, শায়খ-মাশায়েখ, পীর-ফকিরদরবেশ ও বুজুর্গানে দ্বীনের কাছে আজ দিনের আলাের মতাে পরিস্কার হতে চলেছে যে ইসলামের নামে সারা পৃথিবীতে যেসব আগাছা-পরগাছারা জঙ্গীবাদ-মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদের নামে হুঙ্কার দিয়ে যাচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য ধর্ম, আল্লাহ ও নবীর তরিকা নয় বরং একটি অশুভ ইবলিশি আকীদা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আল্লাহ-নবী-রাসূল-পীরআউলিয়াদের পথ থেকে মানুষদের সরিয়ে দিয়ে নিজেদের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বে ইয়াজীদতন্ত্র কায়েম করা। আমার এই গ্রন্থ আল-কোরআনের মারেফত তত্ত্ব ইয়াজিদ তন্ত্রসহ সকল বাতিল ফেরকার বিরুদ্ধে দালিলিক, যৌক্তিক, আধ্যাত্মিক ও ঈমানী অস্ত্র হিসেবে রচিত।
সৈয়দ মোস্তাক আহ্মাদের জন্ম ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর গ্রামে। তার পিতা মাওলানা মুহাম্মদ তমিজ উদ্দীন (র.) ছিলেন একজন পীর ও আধ্যাত্মিক পুরুষ। তার মাতা মনোয়ারা বেগমও ছিলেন সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে আগত। এরকম সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান মোস্তাক আহ্মাদ এর ভাগ্য যেন নির্ধারিতই ছিল যে তিনি বড় হয়ে ধর্ম ও সুফি দর্শন নিয়ে লিখবেন। পারিবারিক ঐতিহ্যের কল্যাণে শৈশব থেকে তার ধর্মীয় শিক্ষার ভিত মজবুত হয়। পাশাপাশি সুফি দর্শন, মরমী দর্শন, আধ্যাত্মিকতা ইত্যাদি বিষয়েও পারিবারিকভাবে শিক্ষা লাভ করেন। তাই তো মোস্তাক আহ্মাদ এর বই সমূহ আধ্যাত্মিকতা ও দর্শন থেকে শুরু করে ধর্মীয় ইতিহাস, অনুশাসন, আত্মোন্নয়ন, মানবজীবন ও দর্শন ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান ও অনুপ্রেরণার অফুরন্ত উৎস। মোস্তাক আহমাদ একজন দক্ষ মোটিভেটর। মেডিটেশন ও নানাবিধ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এবং ব্যক্তিগত উন্নয়ন সাধন করতে সক্ষম। বর্তমানে ‘ড্রিমওয়ে ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ’ এর ড্রিমওয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তথা সিইও হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি। মানবোন্নয়ন, ব্যক্তিক উৎকর্ষ সাধন, সুফি ও মরমী দর্শন নিয়ে দেড় শতাধিক পাঠকপ্রিয় বই লিখেছেন তিনি। মোস্তাক আহমাদ এর বই সমগ্র ব্যক্তিজীবনে সমৃদ্ধি ও সাফল্যের চূড়ায় আরোহণের প্রেরণা দেয়, ব্যক্তিমনের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের পথ দেখায়, সাফল্যের আকাঙ্ক্ষা ও ক্ষুধা জাগ্রত করে। ‘দ্য ম্যাজিক অব থিংকিং বিগ’, ‘বুদ্ধি ও বিনিয়োগ শেয়ার ব্যবসায় সেরা সাফল্য’, ‘মেধা বিকাশের সহজ উপায়’, ‘ইতিবাচক চিন্তার শক্তি’, ‘বিজনেস স্কুল’, ‘মাওলানা রুমীর আত্মদর্শন’, ‘লালন সমগ্র’, ‘টাকা ধরার কৌশল’, ‘দিওয়ান-ই-হাফিজ’, ‘দিওয়ান-ই-শামস তাবরিজ’, ‘আত্মোন্নয়ন ও মেডিটেশন’ ইত্যাদি তার কিছু জনপ্রিয় বই।