দিন, তারিখ, মাস, বছর কিছুই মনে নেই। তবে যতদূর মনে পড়ে, আশির দশকের শেষ দিকে আগত সন্ধ্যার সন্ধিক্ষণে কামারখালী বাজারের এক সময়কার খুব নাম করা মুদি ব্যবসায়ী বৈদ্যনাথ দাসের মুদি দোকানে সদাই কিনতে গিয়ে রোগা, পটকা, হালকা পাতলা গড়নের এক সুদর্শন যুবকের সাথে পরিচয় হলো। নাম জিজ্ঞেস করতেই হাতটা সম্প্রসারিত করে আমার হাতের মুঠোয় চেপে ধরে ইংরেজি কায়দায় নিজের নামটা 'সুব্রত কুমার দাস বদন' বলে আমাকে বলার সুযোগ না দিয়ে, নিজেই জিজ্ঞেস করে বসল, 'আপনি?'। আমি বাংলারীতিতে নিজের পরিচয় দিয়ে বললাম, 'বাবারে আমি তোমার মেঝদার সহপাঠী'। 'বাবারে' বলার পেছনে কারণ হচ্ছে আমার বড়দা এবং সুব্রত'র বাবা দুজনেই হরিহর আত্মাবন্ধু। সেই সুবাদে খুব ছোট বেলা থেকেই সুব্রত'র বাবাকে আমরা দাদা বলে সম্বোধন করতাম। দুই পরিবারের লোকজনের মধ্যে একটা আত্মিক সম্পর্ক বিরাজমান বহুপূর্ব থেকেই। কারণ, এ এলাকায় হিন্দু-মুসলিম মিলিয়ে, হাতে গোনা কয়েকটি পরিবারের মধ্যে শিক্ষা, সংস্কৃতি, অর্থবিত্তের প্রভাব, প্রতিপত্তির একটা মেলবন্ধন ছিল। যার কারণে সাধারণ মানুষজন ঐ পরিবারগুলোর লোকজনদের একট সমীত করত এবং আলাদাভাবে মূল্যায়ন করত।
জন্ম ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪, সাঁথিয়া, পাবনা। কবি, কথাসাহিত্যিক, আলোকচিত্রী ও আইনকর্মী। পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর। এমবিএ করেছেন হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (এইচ.আর.এম) এবং মার্কেটিং এ দুটি বিষয়ে। আইনবিজ্ঞানের জটিল ধারাগুলো জানার ইচ্ছা থেকে সম্পন্ন করছেন এলএল.বি এবং এলএল.এম। ফটোগ্রাফিতে প্রবল আগ্রহ। বেসিক, ফাউন্ডেশন ও ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি ফটোগ্রাফি বিষয়ে বহু উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। বিভিন্ন সময় আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন অনেক পুরস্কার। পদার্থবিজ্ঞানের স্নাতকোত্তর করার সময় অসামান্য ফলাফলের কারণে অর্জন করেছেন উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ড অ্যাওয়ার্ড এবং সর্বোচ্চ একাডেমিক সম্মান The Summa Cum Laude অ্যাওয়ার্ড। প্রতিনিয়ত বর্ণিল কর্ম-অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জকে অতিক্রম করে নিজেকে তিনি করে তুলেছেন অনন্য। সৃজনশীল কাজগুলো সবসময় তাঁকে তাড়া করে বেড়ায়। সেই তাগিদ থেকে লিখে চলেছেন কবিতা-গল্প-উপন্যাস-গান। আইন বিষয়ে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বাড়াতে একজন নিবিষ্ট আইনকর্মী হিসেবে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন।