“কথকতা: গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বুদ্ধিজীবিতা প্রসঙ্গে সাক্ষাৎকার" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ “...যদি সমাজে মুক্তিযুদ্ধের যথার্থ চেতনায় উজ্জীবিত যুগােপযােগী কোনাে নতুন। রাজনৈতিক শক্তির অভ্যুদয় ঘটে, তবে আমাদের পরিস্থিতির উন্নতি হওয়া শুরু করতে বাধ্য । মুক্তিযুদ্ধের বস্তুনিষ্ঠ চেতনার। আলােকে প্রণীত রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দর্শনসমূহ যখন আমাদের গােটা সমাজে প্রধান ধারা হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত হবে, তখনই কেবল একটি যথার্থ জনপ্রতিনিধিত্বশীল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, বৈষম্যহীন অর্থনীতি ও সেকুলার সমাজ ও রাষ্ট্র এদেশে কায়েম হওয়ার পথ সুগম হবে-তার আগে নয়। সে কারণেই সমাজ ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের প্রশ্নে, কিংবা মুক্তিযুদ্ধের গণচেতনা বাস্তবায়নের প্রশ্নে, সময়ের পাটিগাণিতিক হিসাব নিতান্তই অপ্রাসঙ্গিক। পরিবর্তনের জন্য অতএব সবচেয়ে যেটা গুরুত্বপূর্ণ তা হলাে, প্রচলিত ব্যবস্থাসমূহকে কার্যকরভাবে চ্যালেঞ্জ করা; এবং তা যুক্তি দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে সাহসের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ। করা। একই সঙ্গে সৃষ্টিশীল নতুন রাজনৈতিক ভাবনা বৃহত্তর জনসমাজে সঞ্চারিত করা । অর্থাৎ প্রচলিত বন্ধ্যা রাজনীতির প্রভাবমুক্ত বুদ্ধিজীবিতার একটা সবল সংগ্রামের সূচনা। করার ভেতর দিয়ে সমাজে গণতান্ত্রিক শক্তির উদ্বোধন ঘটানােটাই এ মুহূর্তের জরুরি। কর্তব্য। কারণ, ইতিহাস অন্ধ-ইতিহাসকে পথ দেখিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়। আমাদের ইতিহাসকে আলাের পথে এগিয়ে। নেয়ার জন্য এ মুহূর্তে অতএব সবচেয়ে বেশি প্রয়ােজন আলােকিত গণতান্ত্রিক। বুদ্ধিজীবিতার প্রবল উত্থান।”
Title
কথকতা: গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বুদ্ধিজীবিতা প্রসঙ্গে সাক্ষাৎকার