বই সংক্ষেপ শাহ করিমকে নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র ‘ভাটির পুরুষ’ বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার হয়েছিল ২০০৯ সালে ১৪ এপ্রিল, পহেলা বৈশাখের বিশেষ অনুষ্ঠান হিসেবে। এই প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণের কারনে ২০০৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ( শাহ করিমের দাফনের দিন ) পর্যনত্ম আমার ক্যামেরা নিয়ে তাঁকে অনুসরণ করি। এ সময়ের মধ্যে প্রায় দশবার তাঁর সাথে সাড়্গাৎ হয়েছে। কখনো তাঁর গ্রামের বাড়ি দিরাই, কখনো ঢাকায় বা সিলেটে। শাহ করিমের শিষ্য রম্নহী ঠাকুর, রণেশ ঠাকুর, জামাল উদ্দিন হাসান বান্না, আবদুর রহমান, সিরাজ মিয়া, ভাগিনা তোয়াহিদ করিমকে এ সময়ে কিভাবে দেখেছেন, তাও দেখেছি। এছাড়াও সিলেটের বাইরে ঢাকা ও লন্ডনে শাহ করিমকে প্রকাশে যারা উদ্যোগী ছিলেন যেমন, হুমায়ূন আহমেদ, সাবেক বৃটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরী, অধ্যাপক মৃদুল কানিত্ম চক্রবর্তী, সঞ্জীব চৌধুরী, হাবিব, লন্ডনের কায়া ও হেলাল, কোলকাতার দোহার শিল্পী গোষ্ঠি, ঢাকায় মেরিল-প্রথম আলো এবং সিটিসেল-চ্যানেল আই পুরস্কার এসবের বিষয়ে পৃথক পৃথক অধ্যায়ে আলোচনা হয়েছে। মূলত: ভাটি অঞ্চলের লেখাপড়া না শেখা একজন সাধারণ মানুষ কী করে প্রকৃতির কাছ থেকে শিড়্গা নিয়ে এমন বাউল সাধক হয়ে ওঠেন, ৬ বছর ধরে তাঁকে পর্যবেড়্গণ করে এই স্মৃতিচারণ মূলক গ্রন্থ।
শাকুর মজিদ পেশায় স্থপতি, নেশায় লেখক-নাট্যকার-আলোকচিত্রী-চলচ্চিত্র নির্মাতা। শৈশবে কবিতা দিয়ে লেখালেখি শুরু। পরে গল্প, নাটক, ভ্রমণ-কাহিনি লিখেছেন অনেক। নাটকের সকল শাখায় তার বিচরণ। কুড়ি বছর বয়সে সিলেট বেতারে তাঁর লেখা নাটক ‘যে যাহা করোরে বান্দা আপনার লাগিয়া’ প্রথম (১৯৮৫) প্রচার হয় । লন্ডনী কইন্যা, নাইওরী, বৈরাতী, করিমুন নেছা, চেরাগসহ বেশ কয়েকটি টেলিভিশন-নাটক ও টেলিফিল্মের রচয়িতা তিনি। দেশ-বিদেশের ভ্রমণচিত্র নিয়ে তিনশতাধিক প্রামাণ্যচিত্র বানিয়েছেন। দেশ ভ্রমণ তার একটি বড় নেশা। ত্রিশটি দেশ ভ্রমণ করেছেন।তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩২, বেশীরভাগই ভ্রমণকাহিনি, স্মৃতিচারণ ও আত্মজৈবনিক গ্রন্থ।