“যৌনতার তত্ত্বের তিন পাঠ" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ ১৯০৫ সালে প্রকাশিত ফ্রয়েডের ‘যৌনতার তত্ত্বের তিন পাঠ’ ভিক্টোরীয় মানসিকতার। ধর্মীয় সমাজে বিস্তর নিন্দা কুড়িয়েছিল । ‘যৌনতার তত্ত্ব নিয়ে তিনটি প্রবন্ধে ফ্রয়েড শিশুর মনােকামুকতাকে উপজীব্য করেছেন । এই ধারণা তখন নতুন না হলেও বৈজ্ঞানিক। মহলেও পর্যন্ত প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। তারা। যৌনতার থেকে মনােযৌনতার প্রভেদ করতে পারেননি। যৌনতার যে ধারণা আমরা বুঝে থাকি, । তাতে জীবনের পথ জুড়ে বয়স্কদের যৌন আচরণকে বােঝানাে হয় । তা। মনােকামুকতার ধারণা থেকে ভিন্ন বা জীবনের জন্য প্রবৃত্তিতে যুক্ত রয়েছে, ব্যক্তি। ও প্রজাতির মধ্যে শাসন ও প্রতিযােগিতায়; অতএব তার এক বৃহত্তর পর্ব রয়েছে ।। ফ্রয়েড সতর্কতার সঙ্গে জননেন্দ্রিয়কেন্দ্রিক যৌনতার থেকে প্রতীক, প্রত, ও যৌন আকারকে স্বতন্ত্র করেন যার সঙ্গে জীবন প্রবৃত্তি জড়িয়ে রয়েছে। ফ্রয়েড যার নাম দেন লিবিডাে’ । লিবিডাের ধারণার সাহায্যে ফ্রয়েড মানব সাইকি ও তার কাজের । রেপ্রিজেন্টেশনে বিপ্লবী ও মহৎ স্থানের। অধিকারী হন । যৌনতার প্রবৃত্তি ও মানসিক। জীবনের সঙ্গে এর সহজাত সম্পর্ক | অনুধাবনে ফ্রয়েডের যুগান্তকারী অবদান। গড়ে তােলে। তার রচনা আরাে অগ্রসর না। হবার যে ইতিহাসগত কারণ রয়েছে তাতে। অনেক বিষয়ের মত নারীর মনস্তত্ত্ব । অনুধাবনেও সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
সিগমুন্ড ফ্রয়েড ১৮৫৬ সালের ৬ মে ফ্রেইবার্গের মােরাভিয়া শহরে জন্মগ্রহণ করেন। অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিকিৎসাশাস্ত্র অধ্যয়ন শেষে ১৮৮১ সালে ডক্টর অব মেডিসিন ডিগ্রি লাভ করেন। এর পর থেকেই ফ্রয়েড মস্তিষ্কের শরীর সংস্থান, স্নায়ু রােগসহ মানসিক ব্যাধি নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী হয়ে উঠেন। এবং পরিণতিতে মনােবিশ্লেষণ নামে এক নতুন জ্ঞানকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটান, যার প্রভাব অদ্যাবধি মানববিদ্যার সকল শাখায় অবিসংবাদিত। দীর্ঘ কর্মময় জীবনে তিনি অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ রচনা করেছেন। ১৯৩৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর লন্ডনে তাঁর জীবনাবসান ঘটে।