বইটির মূল আলোচ্য বিষয়ঃ আজকের এ বইতে যা আছে, ক্রনলজি বা ক্রমিকতার বিচারে আমি লাভ করেছি একেবারে আমার গুরুর সঙ্গে সাক্ষাতের প্রথম পর্বে। প্রথম দিকে আমার নানা প্রশ্ন ছিল তাঁর কাছে। তিনিও ধৈর্যের সঙ্গে তার উত্তর দিতেন। কিন্তু একদিন বুঝতে পারলাম যে তিনি আসল মানিক। তাঁর খোঁজই আমি সারা জীবন করে আসছি। তিনিও আমার অপেক্ষাতে ছিলেন। এ তো নিয়তির বন্ধন যা ঠিক হয়েছিলো আমার জন্মের লক্ষ বছর আগে থেকেই। তাই তাঁর কাছে আমার নিঃশর্ত আত্মসমর্পন। তাঁর কাছে এসেই বুঝলাম আমি পৌঁছে গেছি এক অন্তহীন মহাসাগরের তীরে। সেটা অষ্টাশি সালের কথা। তারপর তাঁর পায়ের কাছে কাটিয়ে দিয়েছি তেরটি বছর। কেন জানি না প্রথম থেকেই তাঁর কথা ডায়রিতে টুকে রাখতাম। তাঁর কথা সম্পর্কে লিখতে শুরু করলাম কিন্তু ১৯৯৬ সালের দিক থেকে। প্রথমে বাংলাবাজার পত্রিকায়। তারপর একে একে সংলাপ সিরিজের বইগুলো প্রকাশিত হলো। কিন্তু এ সব বইতে বক্ষ্যমাণ বইয়ের গূঢ়তত্ত্ব সম্পর্কে লিখিনি। এ বইতে মূল আলোচ্য বিষয় হলো ইলমে ইরফান বা গূঢ়তত্ত্ব। এর বেশির ভাগই তিনি ডিওএইচএস-এর মারকাজে তাঁর কিছু নির্বাচিত শিষ্যকে শিখিয়েছেন। কিছু কিছু জিনিস যখন তিনি আম দরবারে মসজিদের খুতবায় বলতে শুরু করলেন তখন প্রশ্ন করেছিলাম এসব জিনিস তো পীর সাহেবরা আম দরবারে বলেন না। তিনি হেসে জবাব দিলেন আমরা এখন সালেহীনদের জমানায় আছি। সুতরাং সাধারণ মুসল্লিরা যদি এতে উপকৃত হন ক্ষতি কি?
মোহাম্মদ হারু-উর-রশিদের জন্ম ১৯৩৯ সালের ২৮শে ডিসেম্বর আসামের তিনসুকিয়া শহরে। পিতা : রহিম উদ্দিন আহমদ, মাতা : সালমা খাতুন। পৈতৃক নিবাস : ব্রাক্ষণবাড়িয়া। ব্রাক্ষণবাড়িয়ার অন্নদা মডেল হাইস্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯৫৭ সালে আইএ পাস করেন ব্রাক্ষণবাড়িয়া কলেজ থেকে মেধাতালিকায় পঞ্চম স্থান অধিকার করে। ১৯৬০ সালে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স সমেত বিএ পাস করেন, ১৯৬১ সালে এমএÑ দুই-ই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ১৯৬৪ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন ইংরেজি সাহিত্যে। ১৯৬৬ সালে ট্রাইপস পরীক্ষায় অনার্সসহ উত্তীর্ণ হন। ১৯৭০ সালে ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। অধ্যাপনা বৃত্তিতেই জীবন কাটিয়েছেন। সরকারি বিভিন্ন কলেজ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ছিলেন পাঁচ বছর। বর্তমানে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে প্রফেসর হিসেবে কর্মরত। একই সঙ্গে তিনি বাংলা একাডেমির সভাপতি। মাঝে দু’বছর (১৯৯৯-২০০০) তিনি বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি ছিলেন। প্রফেসর মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ ১৯৭৬ সালে মার্কিন সরকারের বৃত্তি লাভ করে হাওয়াই-এর ইস্ট ওয়েস্ট সেন্টারে ইংরেজি শিক্ষা ও ভাষাবিজ্ঞানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ১৯৮৮ সালে ইন্টারন্যাশনাল ভিজিটর্স প্রোগ্রামে আমেরিকায় যান এবং সেখানকার কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করেন। ১৯৮৪ সালে প্রফেসর মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ ফ্রান্সের নান্তে আন্তর্জাতিক ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি সার্ভিসের সাধারণ সভায় সভাপতি নির্বাচিত হন। দুই বছর এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তাঁর আগে উপমহাদেশের বিখ্যাত দু’জন ব্যক্তি এই পদ অলংকৃত করেনÑ ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জাকির হোসেন আর পাকিস্তানের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী আই. এইচ. কোরেশী। Born in 1939, Professor M Harunur Rashid (মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ) was educated at the universities of Dhaka and Cambridge (UK). He was a member of the Bangladesh Senior Education Service before joining Chittagong University as Associate Professor of English in 1973. He became Professor of English in 1981. Professor Rashid moved to Jahangirnagar University in 1985. He was elected President of World University Service International at the World Assembly held at Nantes, France. He held this post until 1986. He was the third person to serve in this capacity from the sub-continent, the two other being late President Zakir Hossain of India and Dr I. H. Qureshi of Pakistan. Professor Rashid was appointed Director General of Bangla Academy, the national academy of arts and letters, in 1991. Professor Rashid was elected President of the Asiatic Society of Bangladesh in 1998. He went on voluntary retirement from his University in August 1998 and joined Dhaka Courier, an independent newsweekly, as its chief editor. He served North-South University from 2000 to 2008. He was appointed president of Bangla Academy in 2007. A distinguished critic, essayist and translator, Professor Rashid has been writing about the Sufi philosophy of Syed Rashid Ahmed Jaunpuri for about two decades now.