বর্তমানে পাকিস্তান আর ভারত মিলিয়ে উর্দুভাষী জনসংখ্যা ৭ কোটির ওপরে। উর্দু ভাষা এবং সাহিত্যের উৎকর্ষ তাই এই দুদেশের মিলিত প্রয়াসে। ১৯৪৭ পূর্ববর্তী উর্দু ছোটগল্পের প্রধান বিষয়বস্তু মূলত রাজনৈতিক আন্দোলন, সামাজিক জাগরণ কিংবা নারী-পুরুষের মিলন। কিন্তু দেশ বিভাগের পরবর্তীতে নাটকীয় পরিবর্তন ঘটল ছোটগল্পে- সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কিংবা পরাধীন কাশ্মিরের কাহিনীতে মানুষের নীচতা আর নির্যাতনকে ছাপিয়ে মর্মস্পর্শী হয়ে উঠল মানবতাবোধ; বিদ্বেষ বিতৃষ্ণা হতাশা ছাপিয়ে উঠে এল প্রেম আর আশার উচ্চকিত উচ্চারণ। ক্রমশ স্থিরতা এল সমাজ ও মানব জীবনে- প্রতিদিনের তুচ্ছ সাধারণ ঘটনার মধ্যে দিয়ে প্রকাশিত হল অন্তরের বিচিত্র সূক্ষ্ম অনুভূতির অনবদ্য অতলস্পর্শী রূপ। উর্দু ছোটগল্পের এই সৌন্দর্য পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র থেকে ইতোপূর্বে নাতিদীর্ঘ ভূমিকাসহ প্রকাশিত হয়েছে শ্রেষ্ঠ উর্দু গল্পের দুটি সংকলন। খণ্ড দুটিতে উর্দু সাহিত্যে আধুনিকতার উদ্ভব-পর্ব থেকে সাম্প্রতিককাল পর্যন্ত প্রধান লেখক হিশেবে যাঁরা নিজেদের ভাষা-বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন তাঁদের লেখাই অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। নির্বাচিত গল্পগুলো লেখকদের প্রতিনিধিত্বকারী ও শ্রেষ্ঠ রচনা, ফলে খণ্ড দুটিকে উর্দু কথাসাহিত্যের প্রামাণ্য বাংলা সংকলন হিশেবে সহজেই চেনা যায়। কিন্তু উর্দু ছোটগল্পের বিপুল ঐশ্বর্যের সামান্য অংশই ধরা সম্ভব হয়েছে খণ্ড দুটির স্বল্প পরিসরে। তাই ১৯৪৭-এর দেশবিভাগের পরবর্তীকাল থেকে এ পর্যন্ত অনূদিত- আশ্চর্যজনক হলেও ১৯৭১-পরবর্তীতে যা গুণগত মানে না হলেও পরিমাণে
বর্তমান সময়ের তরুণ কবিদের মধ্যে জাহিদ হাসান এখন একটি প্রগতিশীল চেতনার নাম। তাঁর কবিতার বিষয়বস্তু দেখে ২০০৩ সালের ক্ষমতাসীন জোট সরকার তাঁর কাব্যগ্রন্থ “দেশপ্রেমিকের অগােছালাে সংলাপ” নিষিদ্ধ করে তার কণ্ঠ স্তব্ধ করার ষড়যন্ত্র করে। কিন্তু ব্যর্থ হয় সরকারের সবরকম চক্রান্ত। জাহিদ হাসান তাঁর মানবতাবাদী বিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যান মানুষের দিকে। প্রথাবিরােধী লেখক ড. হুমায়ুন আজাদের সুযােগ্য উত্তরসুরী জাহিদ হাসান এখন বাংলাদেশে একটি সাহসের প্রতীকও বটে। শুধু কবিতা নয়, উপন্যাস, নাটক, চলচ্চিত্র নিয়েও এখন তিনি কাজ করছেন সমান তালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে এম এ পাশ করে জাহিদ হাসান এখন কলেজের শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তিনি ২৯ নভেম্বর ১৯৮২ সালে ফরিদপুরে জন্ম গ্রহণ করেন।