ফৌজদারি মামলার ন্যায়বিচার নির্ভর করে সুষ্ঠু ও আইনানুগ তদন্তের ওপর। বিচারক অবশ্যই ন্যায়বিচার করবেন আইন অনুসারে এবং একমাত্র আইন অনুযায়ী। কিন্তু এর জন্য তাকে নির্ভর করতে হয় সুষ্ঠু তদন্ত ও যথাযথ মামলা পরিচালনার ওপর। বর্তমান সময়ে দেখা গেছে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তা, পুলিশ অফিসার, প্রসিকিউটর, সংশ্লিষ্ট আইনজীবী অজ্ঞতা ও অন্যান্য কারণে উল্লেখযোগ্য ভুল করেছেন যার ফলশ্রুতিতে প্রসিকিউশনের মামলার ক্ষতি হয়েছে বিস্তর এবং আইনের ফাঁক গলে অপরাধীরা খালাস পেয়ে গেছে। ফলে অজ্ঞতা ও ভুলত্রুটি চিহ্নিত করে তা দূরীকরণের জন্য আশু করণীয় নির্ণয় করা সময়ের দাবি। তদন্ত ও বিচারের সুনির্দিষ্ট ও নির্ভরযোগ্য পুস্তকের অভাব নেই। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে ভাবতে গেলে আমার মনে হয় ওই সকল নির্ভরযোগ্য পুস্তকের পাশাপাশি দ্রুত উন্নতি ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য ফৌজদারি মামলার তদন্তে ও ম্যাজিস্ট্রেটের বিচারে আশু করণীয় নির্দেশনায় এ পুস্তকটি সংশ্লিষ্ট সকলকে পথ দেখাবে। কারণ এ বইয়ে এমন সব বিষয় আলোচনা করা হয়েছে যা সকলকে তদন্ত ও ও বিচারের কিছু ব্যাপারে সম্যক এবং অপরিহার্য ধারণা দেবে। সুতরাং এ লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশ্যেই আমার এই পুস্তকটি প্রকাশের প্রয়াস। বইটি যাদের জন্য লেখা তাদের এবং সাধারণ পাঠককে সামান্য সাহায্য করলেই আমি বইটি
লেখক চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের দশরশিয়া গ্রামে ১৯৫৩ সনে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮১ সনে বিসিএস (বিচার) ক্যাডারের মুনসেফ পদে চাকরি জীবন শুরু করেন। তিনি খুলনায় ডিভিশনাল স্পেশাল জজ, মাগুরায় জেলা ও দায়রা জজ, ঢাকায় ডিভিশনাল স্পেশাল জজ, ফরিদপুরে জেলা ও দায়রা জজ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে যুগ্ম সচিব (আইন) এবং ঢাকায় মহানগর দায়রা জজ পদে কর্মরত ছিলেন। পরিশেষে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে ২ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বপ্রকার ফৌজদারি মামলার বিচার কাজে তিনি ২২ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। আইনজীবী হিসেবে প্রায় ৪ বছর ও বিচারক পদে ৩০ বছর কাজ করেছেন। ১৬ বছরের অধিককাল লেখক হিসেবে কাজ করছেন। বর্তমানে তিনি আরবিট্রেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন।