'বাংলা সাহিত্যে রোমান্টিসিজম' বইয়ের ফ্লাপের লেখা রােমান্টিসিজম কী? রােমান্টিক কল্পনা কি বাংলা কাব্যে-সাহিত্যে য়ুরােপীয় চিন্তাপ্রভাবে স্ফুরিত হয়েছিল? রােমান্টিসিজম শব্দটি বিদেশি কিন্তু রােমান্টিসিজম ভাবনা আমাদের বাংলা আদিপর্বের সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্যে ছড়িয়ে আছে। অলােকসামান্য মণিহারের মতাে। রহস্যময়, দুরায়ত, ঐন্দ্রজালিক বা ব্যঞ্জনাগর্ভ কোনও ভাবনা বা ধ্যান, যার সঙ্গে অবলীলায় মিশে যেতে পারে প্রকৃতি-ঈশ্বর বা দেহাতীত সম্পর্ক। বিশিষ্ট অধ্যাপক দীর্ঘদিন রােমান্টিক কল্পনার স্বরূপ সন্ধানে গবেষণায় নিয়ােজিত। ইংরেজি ও পাশ্চাত্য সাহিত্যের গভীরচারী সন্ধানের পাশাপাশি বাংলাসাহিত্যেও তিনি খুঁজে বেড়িয়েছেন ‘পরশপাথর। ইতিহাসের ধারাবাহিকতা অনুসরণ করে গ্রন্থটির পর্বে-পর্বে বিচরণ করেছেন তত্ত্বজিজ্ঞাসায়। রােমান্টিসিজম নিয়ে বাংলাতে তাে নয়ই, অন্য ভাষাতেও এমন নবচিন্তার উন্মেষক বই খুব কম লেখা হয়েছে। ছাত্রছাত্রী গবেষক অনুসন্ধিৎসু । পাঠকের কাছে বইটির গদ্য-লাবণ্য অপ্রতিরােধ্য আকর্ষণ। সূচিপত্র প্রথম পরিচ্ছেদ: রােমান্টিসিজমের সংজ্ঞা...........১১ দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ: রােমান্টিক কল্পনার বিচিত্র লক্ষণ...........৪৯ তৃতীয় পরিচ্ছেদ: বাঙালি ও বাংলার আদিপর্বের সাহিত্য : রােমান্টিক কল্পনার পদসঞ্চার...............৮০ চতুর্থ পরিচ্ছেদ: বৈষ্ণব যুগ ও বৈষ্ণব কাব্য ও রােমান্টিক কল্পনার বিকাশ ও ঐশ্বর্য..................৯৫ পঞ্চম পরিচ্ছেদ: মঙ্গলকাব্য : রােমান্টিক কল্পনার ক্ষীয়মাণ ধারা ................১১৬ ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ: সপ্তদশ শতাব্দীর প্রণয়কাব্য : দৌলত কাজী ও আলাওল...........১২৭ সপ্তম পরিচ্ছেদ: গীতিকাকাব্য : ময়মনসিংহ গীতিকা ও পূর্ববঙ্গ গীতিকা ...............১৩৮ অষ্টম পরিচ্ছেদ: অষ্টাদশ শতাব্দী : ভারতচন্দ্র-রামপ্রসাদ-নিধুবাবু ...........১৫১ নবম পরিচ্ছেদ: উনবিংশ শতাব্দী ও আধুনিক বাংলা কাব্যের ভূমিকা : ঈশ্বরগুপ্ত, রঙ্গলাল.................১৬৫ দশম পরিচ্ছেদ: মাইকেল মধুসূদন রােমান্টিক কল্পনার বিকাশ...............১৭৭ একাদশ পরিচ্ছেদ: বাংলা সাহিত্যে রােমান্টিসিজম বিহারীলাল থেকে : আরম্ভের আগে....................২১৬ গ্রন্থপঞ্জি.....................২৫৬ বাংলা পত্র-পত্রিকা........................২৫৯ গ্রন্থপঞ্জি ...........................২৬০ Journals............................২৬৪
Title
বাংলা সাহিত্যে রোমান্টিসিজম (রােমান্টিসিজম এর উপর গবেষণা গ্রন্থ)
জন্ম ১৯৩৪। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী ছাত্র। এম. এ., পি. এইচ. ডি। দীর্ঘকাল ব্যাপী অধ্যাপনা করেছেন, শ্রীরামপুর কলেজ, স্কটিশ চার্চ, কলেজ এবং বঙ্গবাসী কলেজে। এখন অবসৃত কিন্তু যুক্ত আছেন। নানা প্রতিষ্ঠানে ও গবেষণাকর্মে অধ্যাপক হিসাবে প্রথিতযশা, শ্রুতকীর্তি বক্তা হিসেবেও তিনি সুপ্রতিষ্ঠিত। সুদীর্ঘ শিক্ষকজীবনে প্রথাবিমুখ পঠন-পাঠন রীতির জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছে স্বতন্ত্র এবং শ্রদ্ধেয়। তার ছাত্রছাত্রীদের অনেকেই স্ব-স্বক্ষেত্রে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত। শুধু সংস্কৃত ও বাংলাসাহিত্যের গভীর পাঠ নয়, একাধিক বিদেশি। ভাষায় অধিকার অর্জন তার চিন্তার জগতকে প্রসারিত এবং নতুন সৃষ্টিভাবনায় সমৃদ্ধ করেছে। প্রকাশিত বই ‘যেতে যেতে’, ‘স্মৃতি, স্বপ্ন সাহিত্য প্রভৃতি।