সাবিনা ও রুবিনা দুই বােন কে ঘিরে মূল উপন্যাস। ওদের ভিতর আছে সংস্কৃতি কিন্তু দুই জন স্বভাবে। বিপরীত। সাবিনা জানে-সংস্কৃতি মানুষের জীবনকে উন্নতির সুউচ্চ পর্যায়ে পৌছে দেয়। সে বিশ্বাস করে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কটা একটা ‘সৌধ’ যাকে প্রতিদিন পুন নির্মাণ করতে হয়। তার মত একজন প্রজ্ঞাময়ী সুন্দরী মেয়ের বিবাহিত জীবনের স্থায়িত্ব হয় মাত্র দশদিন। তারপর থেকে দশ বছর তার স্বামীর কোন খোঁজ নেই।। কিভাবে এবং কেন এমন হল?.....
রুবিনা বাস্তববাদী, দুর্দান্ত মেয়ে, সে বড় বােন কে দেখছে টুকরাে-টুকরাে স্বপ্নগুলিকে প্রতিনিয়ত একত্রিত করে গড়ছে আর ভাঙছে। বুকের জমিতে মিথ্যে ভালবাসার আবাদ করে চলেছে। তাই সে প্রতিজ্ঞা করেছে জীবনে কখনও বিয়ে করবে না। কিন্তু একজনের সাথে তার প্রায়ই দৃষ্টির সংঘর্ষ হচ্ছে। তিনি ড. হাফিজ পৈত্রিক সূত্রেই বিশাল সম্পত্তির মালিক। শিল্পপতী, সুদর্শন ধার্মিক ও উচ্চনৈতিক চরিত্রের অধিকারী যুবক। প্রথম দিন রুবিনাকে দেখেই তার হৃদয়ের স্পন্দন বেড়ে যায়। নীল চোখ, হলুদ গােলাপী গায়ের রং লাল বেগুনী সাদা রং এর পােষাক। এ যেন সূর্যের বৃন্ত থেকে ছিড়ে আনা রংধনুর সাত রং। সৃষ্টিকর্তা রংধনুর সাত রং নিয়ে খেলার ছলেই হয়তাে তাকে সৃষ্টি করেছেন। একদিন হৃদয়ের তাড়নায় তাকে ভালবাসা জানাতে গেলে সে চরম ভাবে প্রত্যাখাত হয়। কিন্তু কেন? এরপর কি? পরিনতিতে পরিনয় । নাকি পরিনয়ের পর পরিনতি শুরু?..