"নেতাজির মৃত্যু কাহিনি অসত্য " বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: ১৯৪৫-এর আগস্ট মাস। ভারত তখনও পরাধীন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্ত। ব্রিটেনআমেরিকা-রাশিয়ার সম্মিলিত মিত্রশক্তির কাছে জার্মানি-জাপানের অক্ষশক্তির চলছে আত্মসমর্পণের পালা। ভারত সীমান্তে আজাদ হিন্দ ফৌজ পর্যদস্ত। এমন সময়ে ভারতীয়দের কাছে শেলাঘাত-সম সংবাদ এল ১৮ই আগস্ট বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজি মারা গিয়েছেন। সারা দেশ শােকে মুহ্যমান। গান্ধীজি বিচলিত হয়ে শােকবার্তা পাঠালেন। পরপরই বিভিন্ন পরস্পর-বিরােধী সংবাদে দুর্ঘটনাটি নিয়েই সংশয় ও সন্দেহ দানা বাঁধল। এমনও সংবাদ পাওয়া গেল, নেতাজি এই সাজানাে দুর্ঘটনার ঘেরাটোপে রাশিয়া চলে গেছেন, নতুন কোনাে স্বাধীনতাআন্দোলন ও অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টায়। ভারতবাসী স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল। গান্ধীজি ফিরিয়ে নিলেন শােকবার্তা। বললেন, সুভাষ মারা যান নি। তাকে জাপানের বৌদ্ধমন্দিরে-রক্ষিত ভস্মাবশেষের কথা বললে, বলেছিলেন, দুসরা কিসিকো লাস জ্বালা দিয়া হােগা। এতৎসত্ত্বেও কোনাে কোনাে স্বার্থান্বেষী মহল বারবার চেষ্টা করেছে, দুর্ঘটনাকে সত্য প্রমাণ করার। বলতে চেয়েছে, জাপানে রক্ষিত ভস্মাবশেষ নেতাজিরই। সম্প্রতি ভারত সরকার নিয়ােজিত মুখার্জি কমিশনের রিপাের্টে গান্ধীজির কথাই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু কারা এই সত্য গােপনের চেষ্টা করেছিল, কী ছিল তাদের স্বার্থ, মুখার্জি কমিশন কোন কোন ঘটনা প্রকট করেছেন, কী কী করতে পারেন নি, তারই নিখুঁত বিশ্লেষণ করেছেন একালের অন্যতম সত্যান্বেষী সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক পবিত্ৰকুমার ঘােষ তাঁর এই গ্রন্থে।