এই গ্রন্থের প্রসঙ্গে সবিতেন্দ্রনাথ রায় “কলেজ স্ট্রীটে সত্তর বছর” বইটি লিখে আমার মতো পাঠকদের বেজায় খুশি করেছেন। পাঠকরা যেন মনে রাখেন, এ বইও একটা ইতিহাস। পাঠকদের বুঝতে বলি, একটা ইতিহাস লেখা আজ বড়ই প্রয়োজন। এই বই বেরিয়েছে বলে আমি কত আনন্দিত, তা বলতে পারব না। আমার মন বলছে, এ বই তার মূল্য পাবে, নন্দিত হবে, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যপ্রেমী সকলে এ বই সংগ্রহ করবেন। সেদিকে তাকিয়ে থাকলাম। -মহাশ্বেতা দেবী
বইয়ের সবচেয়ে ভালো অংশ তাঁর বাল্যস্মৃতি, তাঁর দুঃখিনী মায়ের কথা।...একই ভাবে মর্মস্পর্শী বেথুন কলেজের গ্র্যাজুয়েট গজেনবাবুর স্ত্রী প্রতিমা মিত্রর কথা, যিনি বাড়িতে বিনামূল্যে পাড়ার ছেলেদের কোচিং ক্লাস চালাতেন।...এই পর্বটিতে রূপকথার আমেজ আছে।...ভানুবাবু যে-সময়ে কলেজ স্ট্রীটে এসেছেন সেই সময়টা আমাদের সাহিত্যের স্বর্ণযুগ, সৃষ্টির পূর্ণকুম্ভমেলা..। - শংকর [দেশ]
চমৎকার আপনার লেখার হাত। বইটি নিশ্চয়ই বহু পাঠকের হৃদয় জয় করেছে। -অম্লান দত্ত
আসলে বইটি একেবারে বৈঠকী আমেজ ও আঙ্গিকে লেখা। সবিতেন্দ্রনাথ সর্বদা মৃদুভাষী, কিন্তু গল্প বলেন চমৎকার, তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠজন মাত্রেই সেটা জানেন।...এক প্রসঙ্গ সূত্রে আর এক প্রসঙ্গ এসেছে নিৃখুঁত গতিময় চলচ্চিত্রের মতো, যেখানে আপাত বিচ্ছিন্ন দৃশ্যগুলো আদতে পরস্পরের মধ্যে সম্পৃক্ত হয়ে থাকে। - দৈনিক স্টেটসম্যান
লেখক Sobitendronath Ray-এর জন্ম ১৯৩৪ সালে। ১৯৪৯ সালে তিনি মিত্রও ঘোষ পাবলিশার্সে যোগ দেন। গজেন্দ্রকুমার মিত্র, তদীয় পত্নী প্রতিমা মিত্র এবং সুমথনাথ ঘোষের স্নেহচ্ছায়ায় তিনি ক্রমশ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক গোষ্ঠীর অন্যতম হয়ে ওঠেন। তদবধি এখনও তিনি প্রকাশন পরিচালনায় কর্মরত। এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অবস্থাতেই তিনি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনো করেছেন। সরকারী কাজের সুযোগ পেয়েও সম্ভবত সাহিত্যিক আড্ডার টানেই এই প্রকাশন প্রতিষ্ঠানে থেকে গেছেন। বহু সাহিত্যিকের সঙ্গলাভে তিনি সমৃদ্ধ হয়েছেন।