"দিওয়ান-ই-হাফিজ" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: বিশ্বখ্যাত মরমী কবিদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি আল্লামা হাফিজ সিরাজী (র.)। শুধু মুসলিম দুনিয়া নয় বিশ্বকে অবাক করা কাব্য সাহিত্যের অন্যতম পুরােধা ব্যক্তিত্ব হাফিজের রচিত কবিতাগুচ্ছ দিওয়ান সৃষ্টিতত্ত্ব, প্রেমতত্ত্ব ও দর্শনের খনিরূপে সমগ্র দুনিয়ায় আলােচিত। তাই নির্দ্বিধায় বলতে গেলে ইরানের বুলবুল হাফিজ দুনিয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ মরমী কবি, দার্শনিক ও স্রষ্টাতত্ত্বের বিশারদ। হাফিজ জ্ঞানের বিশাল ভাণ্ডারে রয়েছে রহস্যের নানা অধ্যায় । গুপ্ত, সুপ্ত, ব্যক্ত-অব্যক্ত জ্ঞানের দ্যুতি ছড়িয়ে হাফিজ বিশ্বকে মাতিয়ে গেছেন তাঁর কাব্যের জাদুকরী ছন্দ মূৰ্ছনায়। মুসলিম রেনেসাঁর জোয়ারের সময় সমুদ্র উথিত এই রত্ন সমগ্র বিশ্বকে প্রকম্পিত করেছেন নুতন চিন্তার বীজ দিয়ে। অর্জন করেছেন অসাধারণ জয়প্রিয়তা ও প্রতিভার বিস্ময় মূর্তিতে আবির্ভূত হয়েছেন বিশ্ব দরবারে । মানব মনে তাঁর কবিতার স্পর্শ এমনই যে পাথরওঁ যেন মােমের কোমলতা পায়; এমনকি বিশ্বজয়ী বীর বর্বর পাথর আমির তৈমুরলঙ্গও যার ধ্বংস যজ্ঞে বিশ্ব প্রকম্পিত, রক্তপাত এবং রাজ্য জয় ছাড়া যিনি অন্যকিছু বুঝতেন না, তাঁরও হাতের এসব কাজ বন্ধ করে দিতে সমর্থ হয়েছিলেন হাফিজ; তাঁর রচিত দিওয়ানের জাদুকরী ছন্দের মােহবন্ধনে। তৈমুরলঙ্গ প্রেম ও গােলাপের দৃশ্য দেখে এতই বিমােহিত ও আকৃষ্ট হয়েছিলেন যে সমস্ত বর্বরতা ভুলে কিছু কালের জন্য হাফিজের প্রেম বাগানের মালি বনে গিয়েছিলেন। হাফিজের পূর্বে যাঁরা মহাকবি ফেরদৌসী ও খৈয়ামের সুকৃতির কথা জেনেছিলেন তাঁরা ইরানে ছুটে এসে শাহনামার বিশাল প্রাসাদের পাশে কিংবা ওমর খৈয়ামের গােলাপ ঝাড়ের উপত্যকা অতিক্রম করে পেয়ে গেলেন হাফিজকে, বললেন, দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ কবি হাফিজ, তিনি সত্যিই বিশ্বের এক মহা বিস্ময়।
সৈয়দ মোস্তাক আহ্মাদের জন্ম ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর গ্রামে। তার পিতা মাওলানা মুহাম্মদ তমিজ উদ্দীন (র.) ছিলেন একজন পীর ও আধ্যাত্মিক পুরুষ। তার মাতা মনোয়ারা বেগমও ছিলেন সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে আগত। এরকম সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান মোস্তাক আহ্মাদ এর ভাগ্য যেন নির্ধারিতই ছিল যে তিনি বড় হয়ে ধর্ম ও সুফি দর্শন নিয়ে লিখবেন। পারিবারিক ঐতিহ্যের কল্যাণে শৈশব থেকে তার ধর্মীয় শিক্ষার ভিত মজবুত হয়। পাশাপাশি সুফি দর্শন, মরমী দর্শন, আধ্যাত্মিকতা ইত্যাদি বিষয়েও পারিবারিকভাবে শিক্ষা লাভ করেন। তাই তো মোস্তাক আহ্মাদ এর বই সমূহ আধ্যাত্মিকতা ও দর্শন থেকে শুরু করে ধর্মীয় ইতিহাস, অনুশাসন, আত্মোন্নয়ন, মানবজীবন ও দর্শন ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান ও অনুপ্রেরণার অফুরন্ত উৎস। মোস্তাক আহমাদ একজন দক্ষ মোটিভেটর। মেডিটেশন ও নানাবিধ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এবং ব্যক্তিগত উন্নয়ন সাধন করতে সক্ষম। বর্তমানে ‘ড্রিমওয়ে ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ’ এর ড্রিমওয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তথা সিইও হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি। মানবোন্নয়ন, ব্যক্তিক উৎকর্ষ সাধন, সুফি ও মরমী দর্শন নিয়ে দেড় শতাধিক পাঠকপ্রিয় বই লিখেছেন তিনি। মোস্তাক আহমাদ এর বই সমগ্র ব্যক্তিজীবনে সমৃদ্ধি ও সাফল্যের চূড়ায় আরোহণের প্রেরণা দেয়, ব্যক্তিমনের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের পথ দেখায়, সাফল্যের আকাঙ্ক্ষা ও ক্ষুধা জাগ্রত করে। ‘দ্য ম্যাজিক অব থিংকিং বিগ’, ‘বুদ্ধি ও বিনিয়োগ শেয়ার ব্যবসায় সেরা সাফল্য’, ‘মেধা বিকাশের সহজ উপায়’, ‘ইতিবাচক চিন্তার শক্তি’, ‘বিজনেস স্কুল’, ‘মাওলানা রুমীর আত্মদর্শন’, ‘লালন সমগ্র’, ‘টাকা ধরার কৌশল’, ‘দিওয়ান-ই-হাফিজ’, ‘দিওয়ান-ই-শামস তাবরিজ’, ‘আত্মোন্নয়ন ও মেডিটেশন’ ইত্যাদি তার কিছু জনপ্রিয় বই।