অল কোয়ায়েট অনদি ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট প্রথম অধ্যায়
হাঁফ ছেড়ে নিচ্ছি আজকের দিনটা। ফ্রন্ট থেকে পাঁচ মাইল পিছনে বসে। ফ্রন্ট! যমের বাড়ির খোলা দরজা! মুখোমুখি হাতাহাতি লড়াই চলছে যেখানে, সেখান থেকে মাত্র পাঁচটা মাইল! পালা করে এমনি দুই-একদিন আমরা জিরোতে পাই। এক একটা দল এক এক সময়। কাল আমাদের পালা এল। চলে এলাম পাঁচ মাইল পিছনের এই ক্যাম্পে। আজ ভরা পেটে শুয়ে বসে আরাম করছি। বিন দিয়ে মাংসের সুরুয়া রেঁধেছিল, আকণ্ঠ খেয়েছি সবাই। ওবেলার জন্যে তোলা আছে আরও এক এক মগ। রুটি আর মাংসের পিঠেও আজ দুনো বরাদ্দ। দেহটা বেশ চাঙ্গা মনে হচ্ছে সত্যি। আজ যা বরাত খুলেছে, অনেক অনেক দিন হয়নি এমন। রান্নাবাড়ি থেকে গাজরের মতো লম্বাটে ছুঁচোলো মাথা ধার করে বাবুর্চি ডেকে ডেকে বলছে— ‘খেয়ে যাও হে খেয়ে যাও।' দূরে কাউকে দেখলেই হাতা নেড়ে হাতছানি দিচ্ছে। কাছে আসতেই হাতা কেটে সুরুয়া তুলে দিচ্ছে বাটি ভরতি করে। না দিয়ে উপায় কি তার? কফি তৈরি করবার আগেই তাকে ডেকচি খালি করতে হবে যে! জাদেন আর ম্যুলার এক একটা মুখ ধোবার গামলা এনে হাজির করেছিল। তাও সে হাসিমুখে ভরতি করে দিয়েছে। জাদেন নিয়েছে, কারণ সে পেটুক; ম্যুলার নিয়েছে, কারণ সে ভবিষ্যতের কথা ভাবে। বলিহারি যাই কিন্তু জাদেনকে, তার ঐ রোগা-পটকা দেহটার ভিতর এত রসদ যে কোথায় ঢোকাচ্ছে, বুঝতেই পারা যায় না! এ-সবের চাইতেও বড় কথা, ধোঁয়া খাওয়ার বরাদ্দও আজ ডবল। দশটা মোটা চুরুট, কুড়িটা সিগারেট, দু'পাতা তামাক মাথা-পিছু। এমন না হলে বন্দোবস্ত। তা আমার তামাক পাতা আমি কাটজিনস্কিকে দিয়ে দিয়েছি। আর সে আমায় দিয়েছে তার সিগারেট। তার মানে, আমার পকেটে এখন চল্লিশটা সিগারেট। একটা দিন হেসে খেলে চলে যাবে।
Title
অল কোয়ায়েট অন দি ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট ও দ্য ব্ল্যাক অবিলিস্ক
Erich Maria Remarque (জুন ২২, ১৮৯৮ – সেপ্টেম্বর ২৫, ১৯৭০) একজন জার্মান সাহিত্যিক ও স্বনামধন্য লেখক।তিনি তার যুদ্ধবিরোধী উপন্যাস "অল কোয়াইট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট"(All Quiet on the Western Front) এর জন্য বিখ্যাত। তার ছদ্মনাম ছিল এরিক পল রেমার্ক।