"অন্ধকারের বন্ধু" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: হেমেন্দ্র কুমার রায়ের আর এক শখের গােয়েন্দা হেমন্ত। অদ্ভুত তার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা এবং বিচারবুদ্ধি। তারই সাহায্যে সে ধরেছে একের পর এক খনীকে। অন্ধকারের বন্ধু- তে খুনী যে বিজ্ঞানের সাহায্য নিয়ে খুন করেছে তা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। নিজের চেহারা বদলে শিক্ষিত এই খুনী মতিকে খুন করে এমনভাবে যাতে আর একজনের ওপর গিয়ে পড়ে সব দোষ। সেই লােকটি গা ঢাকা দিতে সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। কিন্তু ওপর-চালাকি করতে গিয়ে আসল অপরাধী হেমন্তকে চায়ের নিমন্ত্রণ করে বসে। এই সামান্য ভুলের জন্যে যে তাকে অতবড় মূল্য দিতে হবে তা কিন্তু খুনী স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি। রাত্রির যাত্রী- তে হেমন্ত সব রহস্যের সমাধান করে ফেলেছে মনােবিজ্ঞানের সাহায্য নিয়ে। পর পর কেন অতজন চিকিৎসক খুন হলেন তা যখন অন্ধকার থেকে আলােয় বেরিয়ে এল তখন হেমন্তরও মন খারাপ হয়ে যায়। সে আক্ষেপ করে বলে, এমন জানলে এই কেস আমি হাতে নিতাম না। কেন? বিভীষণের জাগরণ- বইটিতে হেমন্তর আর এক রূপ। এখানে তার লড়াই একজটা স্বামীর বিরুদ্ধে। একজটা স্বামী মন্ত্রের সাহায্যে এক দানবকে জাগিয়ে তুলে তাকে দিয়ে হত্যালীলা চালিয়ে যাচ্ছিল। হেমন্ত বুঝতে পারে একটা স্বামীর এই ভয়ঙ্কর কাজ। এরপর শুরু হয় হেমন্তর সঙ্গে একজটা স্বামীর লড়াই। হেমন্ত কি পারবে ঐ হত্যালীলা বন্ধ করতে? একজটা স্বামীরই বা শেষ পর্যন্ত কী হলাে? মুখ আর মুখােস- বইটি অদ্ভুত এক রহস্যের মােড়কে মােড়া। কলকাতা থেকে তিনটি ধনী ও সম্রান্ত পরিবারের তিন উত্তরাধিকারী এক মাসের মধ্যে অপহৃত হলাে। হেমন্ত তদন্ত শুরু করে সামান্য সূত্র থেকে তার তীক্ষ্ণ বুদ্ধির জোরে সহজেই অপরাধীকে ধরে ফেলে সুন্দরবনের এক দ্বীপ থেকে অপহৃতদের উদ্ধার করে আনতে যায়। তাদের উদ্ধার কৱতে পারবে তাে সে?
জন্ম ১৮৮৮, কলকাতা। সাহিত্যচর্চার শুরু মাত্র ১৪ বছর বয়সে। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। খেয়ালি জীবন, ঘুরে বেড়িয়েছেন সাহিত্য সংস্কৃতির নানান স্রোতে। ‘ভারতী’ গােষ্ঠীর সাহিত্যিক হিসেবেই প্রথম পরিচয়। ‘বসুধা’ পত্রিকায় প্রথম গল্প প্রকাশিত হয়। বহু গান লিখেছেন, নাচ শেখাতেন, নাটকও লিখেছেন। সম্পাদনা করেছেন নাটক বিষয়ক সাময়িকপত্র ‘নাচঘর’। পরবর্তী সময়ে সম্পাদক ছিলেন ছােটদের বিখ্যাত পত্রিকা রংমশাল-এরও। কিশাের সাহিত্যের এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক। লিখেছেন অজস্র বই। বয়স্ক পাঠকদের জন্য কাব্য-অনুবাদে ‘ওমর খৈয়ামের রুবায়ত’ বা ছােটদের জন্য ‘যকের ধন, ‘দেড়শাে খােকার কাণ্ড’, ‘ঝড়ের যাত্রী’, ‘কিং কং’ সমান আদৃত। বিখ্যাত প্রবন্ধের বই ‘বাংলা রঙ্গালয় ও শিশিরকুমার। জীবনাবসান ১৮ এপ্রিল ১৯৬৩।