গুপ্তধনের দুঃস্বপ্ন : গােবিন্দদাসের ক্যাশবাক্সে এক কোটি টাকা। ক্যাশবাক্সটা লুকিয়ে রাখা আছে এমন একটা জায়গায় যা শুধু জানে গােবিন্দদাসের মেয়ে রত্না। গুপ্তধনের কথা জানতে পারে এক কুখ্যাত, দুর্ধর্ষ খুনী। রত্নার জীবন সংশয় হয়ে ওঠে। ডিসি ডিডি নিজে এগিয়ে আসেন রত্নাকে বাঁচাতে, খুনীকে ধরতে। কিন্তু রােজ রাত্রে যে ঘােড়সওয়ারের আবির্ভাব হচ্ছে সে কে? প্রেতাত্মা...? বাঘরাজের অভিযান : রুদ্ধশ্বাস রহস্য কাহিনী। বাঘরাজ কে? অরিন্দম, ডাঃ সেন কিংবা দেবিকা দেবীরই বা পরিচয় কি? বাঘরাজের স্বর্ণভাণ্ডার কোথায়? প্রথম পাতা থেকে টানটান উত্তেজনা আর রহস্যের মােড়কে মােড়া বইটি ঘটনার ঘনঘটায় পাঠক-পাঠিকাকে টেনে রাখবে শেষ পর্যন্ত। চতুর্ভুজের স্বাক্ষর : চতুর্ভুজ কে, কী তার পরিচয়? ভারত শখের গােয়েন্দা, ভাস্কর তার বন্ধু। ভারতের মক্কেল হয়ে এল চিত্রা। তারপরই শুরু হয়ে গেল অজানা রহস্যের সন্ধান। মিললল গুপ্তধনের খোঁজ। খুন, জখম সব মিলিয়ে পাতায় পাতায় চমক। পাশাপাশি গােয়েন্দা ভাস্করের তীক্ষ্ণ বুদ্ধি আর বিশ্লেষণক্ষমতা ধরিয়ে দিলাে হত্যাকারীকে। নিশাচরী বিভীষিকা : কে এই নিশাচরী? জলাভূমি থেকে জাগ্রত হয়ে কে করে ঐ প্রচণ্ড শৰধ্বনি? কার ঐ ভয়ঙ্কর হিংস্র ও জ্বলন্ত চক্ষু এবং ক্ষুধিত করাল দন্ত? কার ঐ অপার্থিব, ভীষণ অতিকায় মূর্তি? জমিদার বাড়িকে কেন্দ্র করে কেন পরপর ঘটে চলেছে মৃত্যুর হােলি খেলা? শখের গােয়েন্দা ভারতের সামনে এবার মস্ত বড় চ্যালেঞ্জ। সে কি পারবে সেই চ্যালেঞ্জের মােকাবিলা করতে?
জন্ম ১৮৮৮, কলকাতা। সাহিত্যচর্চার শুরু মাত্র ১৪ বছর বয়সে। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। খেয়ালি জীবন, ঘুরে বেড়িয়েছেন সাহিত্য সংস্কৃতির নানান স্রোতে। ‘ভারতী’ গােষ্ঠীর সাহিত্যিক হিসেবেই প্রথম পরিচয়। ‘বসুধা’ পত্রিকায় প্রথম গল্প প্রকাশিত হয়। বহু গান লিখেছেন, নাচ শেখাতেন, নাটকও লিখেছেন। সম্পাদনা করেছেন নাটক বিষয়ক সাময়িকপত্র ‘নাচঘর’। পরবর্তী সময়ে সম্পাদক ছিলেন ছােটদের বিখ্যাত পত্রিকা রংমশাল-এরও। কিশাের সাহিত্যের এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক। লিখেছেন অজস্র বই। বয়স্ক পাঠকদের জন্য কাব্য-অনুবাদে ‘ওমর খৈয়ামের রুবায়ত’ বা ছােটদের জন্য ‘যকের ধন, ‘দেড়শাে খােকার কাণ্ড’, ‘ঝড়ের যাত্রী’, ‘কিং কং’ সমান আদৃত। বিখ্যাত প্রবন্ধের বই ‘বাংলা রঙ্গালয় ও শিশিরকুমার। জীবনাবসান ১৮ এপ্রিল ১৯৬৩।