"হাড় কাঁপানো ভূত-প্রেতের গল্প" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: ভূত আছে কি নেই, সে নিয়ে মতভেদ আছে বিস্তর, কিন্তু ভূতের ভয় যে আছে, এ বিষয়ে কোনাে সন্দেহই নেই। অতি সাহসী যে ছেলে ভূত নেই বলে গলা ফাটায়, তারও কিন্তু মাঝরাত্তিরে একা বাড়ি ফিরতে হলে, অথবা একলা ঘরে রাত কাটাতে হলে বুকের ভেতরটা ঢিবঢিব করে। আসলে অপঘাতে মৃত্যুর পর আত্মার যে সঙ্গতি হয় না, এসব নিয়ে এত রকমের কথা আমরা শুনেছি, এত গল্প-কথা এই নিয়ে লােকের মুখে মুখে ফেরে যে, জানা ও অজানার একটা অন্ধকার জগৎ তৈরি হয়ে গিয়েছে এই নিয়ে। ভূতের গল্প লেখায় হাতযশ আছে লেখিকার। এ ধরনের গল্প তিনি লিখেছেনও বিস্তর। এর আগে তাঁর বেশ কয়েকটি বই আমরা প্রকাশ করেছি, সেগুলি হল—‘রক্তকালীর মাঠ’, ‘রাত তখন বারােটা’, ‘গা ছমছমে ভূতের গল্প’, ‘ভূতেরা ভয়ঙ্কর’ এবং ‘রােমাঞ্চকর ভূতের গল্প’। এবার প্রকাশিত হচ্ছে ‘হাড়কাঁপানাে ভূত-প্রেতের গল্প’—কুড়িটি নতুন গল্পের লােভনীয় সংকলন। প্রত্যেকটি গল্পেরই স্বাদ আলাদা, প্রত্যেকটি গল্পই রীতিমতাে উপভােগ্য। ভূতের গল্প লিখতে গেলে যে কৌশলগুলি জানতে হয়, লেখিকা সেসব ভালাে করেই জানেন। ফলে গল্প পড়ার সময় যাতে একটা হাড় হিম করা পরিবেশ তৈরি হয়, আলাে-অন্ধকার জগতের রহস্য যাতে আমাদের শিহরিত করে, আরম্ভ থেকে শেষ অবধি একটা ভয় জাগানাে কৌতূহল যাতে বজায় থাকে, সবই লেখিকা তৈরি করেছেন। রুদ্ধশ্বাসে শেষ করার মতাে এই গল্পগুলি সবাইকে সম্মােহিত করে রাখবে, এটাই আশা করা যায়।