“রণদাপ্রসাদ সাহার জীবনকথা" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ একজন সাধারণ বাঙালি ঘরের সন্তান হয়েও সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা ও আত্মপ্রত্যয়ের শক্তিতে, বিত্তশালী। হয়েছিলেন এবং সেই যাবতীয় বিত্তকে বিত্তের উৎস। সকল কর্মকান্ডকে বিশেষ নীতিমালার আলােকে সেবা ও কল্যাণের জন্য নির্দিষ্ট করে গিয়েছিলেন। ব্যক্তি রণদাপ্রসাদের অবদান এই সরল বাক্যে প্রকাশিত হলেও তিনি অপ্রকাশিতই থেকে যান। কারণ তাকে জানতে হলে, বুঝতে হলে একটি বিশাল সময়কে ধারণ করতে হবে, সেই সময়ের সকল উত্থানপতনের পূর্বাপর ইতিহাসও আমাদের জানতে হবে। কিন্তু সে-সুযােগ আমাদের কই! রণদাপ্রসাদ সাহাকে খন্ডিতভাবে দেখার কোনাে উপায় নেই। সমগ্র সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে তার। প্রতিটি কর্মকান্ডকে মিলিয়ে দেখলেই অনুধাবন করা। সম্ভব সামগ্রিকভাবে তিনি কতটা মহৎ ছিলেন, কীভাবে কাজ কর্মে চিন্তায়-স্বপ্নে ও বাস্তবায়নে ধীরে ধীরে ব্যক্তি রণদাপ্রসাদ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হন। রণদাপ্রসাদ যে স্বপ্ন দেখতেন, তা বাস্তবায়নের জন্য। প্রধান যে উপকরণের প্রয়ােজন তা হল আত্মপ্রত্যয়। আত্মপ্রত্যয়ী ব্যক্তি হিশেবে তিনি অনুষঙ্গিক উপকরণ যথা অর্থ ও অর্থের জন্য নিশ্চিত সংস্থানের ব্যবস্থা করতে সমর্থ হয়েছিলেন। আত্মপ্রত্যয়ী হবার দীক্ষা। তিনি পেয়েছিলেন তাঁর নিজের জীবন থেকেই। উন্নয়নের ইতিহাসে রণদাপ্রসাদ সাহার অবদান সুবিশাল। চোখের সামনেই ঘটেছে এসব ঘটনা। মাটি খুঁড়ে আমরা আবিষ্কার করিনি কুমুদিনী হাসপাতাল বা ভারতেশ্বরী হােস। এই বাংলারই এক অখ্যাত পরিবারের সন্তান এইসব কীর্তি স্থাপন। করেছেন এই শতকেই, চল্লিশের দশকে।
ছােট গল্পের লেখক হিসেবে প্রথম আত্মপ্রকাশ ১৯৮৫-তে দৈনিক ইত্তেফাকের মাধ্যমে। মানুষের জীবনের যে প্রাচীরটি দেখতে সাধারণত আমরা অভ্যস্ত, তার নির্মম ছায়া ভেতরে ও বাইরে যন্ত্রণায় এসে আশ্রয় খোজে লেখায়। বােধের শুরু থেকেই লেখা শুরু। কবির চেতনায় প্রতিফলিত গদ্যের অবয়ব। পথচলা তবু কবিতার পানে এক দুর্বোধ্য টানে খুঁজে নেয় পায়ের তলায় নিজস্ব মাটি। জন্ম : খুলনার পাইকগাছায়, ষাটের পহেলা মার্চ কাকডাকা ভােরে পাতলা কুয়াশায়। কাজ : শিক্ষকতা, ভারতেশ্বরী হােমস। গল্প সংকলন : একা অথচ একলা নই।। উপন্যাস : হৃদয়পুরের গল্প। কাব্য : এক কুঁচের সমান।