উন্নত অনেক দেশেই সংগঠনের মাধ্যমে লোক সাহিত্য বা লোক ঐতিহ্য সংগৃহীত হয়। তন্মধ্যে বিলেতের “ফোকলোর সোসাইটি” অন্যতম। এ সোসাইটির মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থান হতে লোক সাহিত্য বা লোক ঐতিহ্য সংগ্রহ করা হয়। উনিশ শতকের শেষ দিকে উপমহাদেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় বাংলার ভাঙ্গা- গড়ার অঞ্চল নোয়াখালীতেও লোক সাহিত্য বা লোক ঐতিহ্যের সন্ধান, সংগ্রহ ও সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়। তবে যারা কাজ করেছেন তারা ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রাণের তাগিদে করেছেন। যা একেবারেই সীমিত এবং অপর্যাপ্ত। লোকজ জ্ঞানে প্রযুক্তি একটু নতুন মনে হলেও এর অন্দরে রয়েছে সেই পুরনো ঝাঁজ। যার মধ্যে লুকায়িত রয়েছে লোক ঐতিহ্যের নানা উপাদান-উপকরণ যেমন- মৃৎশিল্প, চাটাইশিল্প, তাঁতশিল্প, নৌ-শিল্প, বাঁশশিল্প, নকশী কাঁথা, ঢেঁকি, ছিক্কা, মৎস্য আহরণ সামগ্রী, পাখি ধরার ফাঁদ, কৃষি সরঞ্জামসহ নানা বিষয়। এখানে প্রতিটি প্রবন্ধে নোয়াখালী শব্দ যুক্ত করা হয়েছে। কারণ, লোক ঐতিহ্যের এসব উপাদানগুলো আমি নোয়াখালীর প্রত্যন্ত অঞ্চল হতে সংগ্রহ করেছি। তবে তার অর্থ এই নয় যে, এ উপাদানগুলো দেশের অন্যান্য অঞ্চলে নেই। অবশ্যই এগুলো আছে এবং আছে আরো অনেক অজানা রহস্য।
এ.কে.এম. গিয়াস উদ্দিন মাহমুদ একুশ শতকের দাঁচে ঢালা সজ্জন ব্যক্তি, প্রানবন্ত মানুষ এবং একজন মননশীল লেখক, মননের শৃংখলা ও রুচির স্নিগ্ধতা নিয়ে নিরন্তন লিখে চলেছেন নোয়াখালীর ইতিহাস ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং মুক্তিযুদ্ধ। তিনি নোয়াখালীর অতীতকে বিস্তৃতির অন্ধকার থেকে আলোর জগতে বের করে আনার অবিরত চেষ্টা করেছেন দীর্ঘ অনুশীলন ও পরিশীলনের ভিত্তিতে। লেখকের শৈশব, যৌবন কেটেছে মাইজদী শহরের সরকারি আবাসিক এলাকার বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের ভালবাসা ও মমতায়। তাঁর পিতা মরহুম আবু বকর ছিদ্দিক ছিলেন সরকারি চাকুরীজীবি আর মাতা ছালেহা বেগম একজন সুগৃহিনী, মহিয়সী। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ সমূহঃ * সম্ভাবনামীয় সুবর্ণচর (২০০৭) * নোয়াখালীর শ্লোক (২০০৯) * নোয়াখালীর ইতিহাসে শ্রী শ্রী বারাহী দেবীর অবস্থান (২০০৯) * নোয়াখালীর বৌদ্ধ সম্প্রদায় (২০১০) * নিঝুম দ্বীপের কথা (২০১০) * নোয়াখালীর ওলি-দরবেশ (২০০১১) * নোয়াখালীর ভৌগালিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস (২০০১১) * নোয়াখালীর সংগীত সাধন সুভাষ সরকারের কীর্তি (২০০১৩)