ফ্ল্যাপে লিখা কথা স্বর্গদ্বীপ তাভেউনিতে তিনদিনের জন্যে মিলিত হয়েছিল এক নিঃসঙ্গ নরওয়েজিয় প্রাণীবিজ্ঞানী, মৃত স্ত্রীর শোকে কাতর এক ইংরেজ ঔপন্যাসিক এবং পরস্পরেরন প্রেম আপ্লুত এক অদ্ভুত ও চমৎকার স্প্যানিশ দম্পতি -যারা নিজস্ব একটা ভাষাই আবিষ্কার করেছে বলে মনে হয়। ব্রিজ থেলে, কাহিনী বুনে আর নানান ধারণার বিনিময়ের ভেতর দিয়ে দীর্ঘ প্রশান্তমহাসাগরীয় রাতগুলো পার করে ওরা।
সংক্ষিপ্ত এই সাক্ষাৎ সামান্য অবকাশমাত্র চিল না, বরং নানান বিভ্রম আর কুহকে ভরা জটিল এক কাহিনীর সূত্রপাত, বহুমাস পরে যার উন্মোচন ঘটবে। অংশত ট্যাজিডি ,অংশত রহস্যময় এবং সর্বোপরি প্রেমকাহিনী মায়া মানবতা এবং মহাবিশ্ব সম্পর্কিত কিছু বৃহৎ প্রশ্নও তুলে ধরেছে। ইয়স্তেন গার্ডার মহাবিশ্বের বৃহৎ হেঁয়ালিগুলো সম্পর্কে আমাদের ভাবিত ও সজাগ করে তোলার অসাধারণ ক্ষমতার মাধ্যমে যার জবাব খোঁজার প্রয়াস পেয়েছেন।
সূচিপত্র * সূচনা * ভেরাকে লেখা চিঠি * শেষ দেখা যার, সেরা দেখা তার * আদমের বিস্ময়ের অভাব * অগ্রগামী উভচর * টিকটিকির উদ্দেশ্যে মসকিটো-ম্যান * নিয়ানডারটালের বিখ্যাত সৎ ভাই * ট্রপিক্যাল সামিট * অরেঞ্জ ডাভ * আমাদের বিষাদ ভাগ করতে চেয়েছ তুমি * বেলিস পেরেন্নিস * বামন ও জাদুর ছবি * উভয়ার্থে যুক্তি বড় দুর্বল * জন স্পূকের উপসংহার * ইশতেহার
অনুবাদক শওকত হােসেন-এর আদি নিবাস চট্টগ্রাম জেলার পরাগলপুর গ্রামে। বাবার বিচার বিভাগীয় চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন শহরে কেটেছে বাল্য ও কৈশাের। বই পড়ার অদম্য নেশা পেয়েছেন বই প্রেমী মায়ের কল্যাণে। ১৯৮৫ সালে রানওয়ে জিরাে-এইট অনুবাদের মাধ্যমে হঠাৎ করেই লেখালেখির শুরু শওঁকত হােসেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাস্টার্স করেছেন। বর্তমানে একটি বেসরকারী ব্যাংকে কর্মরত।