এক সময় নারী ছিল শুধু উপভোগের বস্ত। পৃথিবীর ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতম সৃষ্টি পশু পাখিদেরও স্বাধীনতা বলতেএকটা কিছু আছে। কিন্তু নারী জাতির স্বাধীনতা বলতে কিছু ছিল না। এক নিকৃষ্ঠ ও ঘৃন্য জাতি হিসেবে নারীকে গন্য করা হত। ইসলামের অবিভাবের পর যে সকল নারী ধর্মহীনতার নিকষ আধার থেকে নিজেদেরকে যুক্ত করে স্বভাবগত আদর্শ ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় গ্রহণ করতে সক্ষম হয়। কেবল তারাই স্বীয় অবস্থান সুসংহত করে আল্লাহর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষ হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করার সৌভাগ্য অর্জন করে। কিন্তু আধুনিক পাশ্চাত্যবাদীরা ও। ও তাদের পূর্বসুরীদের ভূমিকায় নারীদের সেই সুসংহত অবস্থানকে নষ্ঠ করে ফেলে। তাই দেখা যায় এক শ্রেণীর নারী সমাজ স্বীয় পবিত্র ইতিহাসকে কালুষিত করে নগ্নতা নিলজ্জতা ও অশ্লীলতায় বনী ইসরাঈলী নারীদেরকে ও হার মানিয়ে চলছে। তথাকথিত সভ্যতা ও প্রগতির নামে সহশিক্ষা অবাধ মেলামেশা, বেপর্দেগী ও অশ্লীলতার স্রোতে ভেসে যাচ্ছে আজ গোটা নারী সমাজ। নারী জাতিকে এচরম অধপতন থেকে রক্ষা করা আজ বিরাট দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই দায়িত্ববোধই আমাদের তাড়িয়ে নিচ্ছে "জান্নাতী দশ মহিলা" প্রকাশ করতে। বইটিতে এমন দশজন মহিয়সী মহিলার জীবন কর্ম উপস্থাপন করা হয়েছে, যাদের আমল আখলাক, দ্বীনদারী তাকওয়া, পরেহযগারী ধৈর্য-সহ্য এক কথায় তাদের পূরো জীবনটাই নারীকুলের জন্য আদর্শ হয়ে আছে। আশা করি বইটি আজকের নারী সমাজের জন্য পথ ও পাথেয় হিসেবে কাজ করবে। ইনশাল্লাহ।