"আল কোরআনের বিষয় অভিধান" বইটির শেষের ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ বাংলা ভাষাভাষী পাঠকের জন্য বাংলা ভাষায় আল কুরআনের বর্ণানুক্রমিক শব্দ ও বিষয়ের সূচী সংকলন একটি অত্যন্ত দুরূহ ও অধ্যবসায়ের কাজ। স্নেহভাজন আসাদ বিন হাফিজ 'আল কোরআনের বিষয় অভিধান' শীর্ষক এ দুরূহ কাজটি বহু পরিশ্রমে সমাপ্ত করে দুঃসাধ্য সাধন করেছেন। -ডঃ কাজী দীন মুহাম্মদ। প্রাক্তন মহাপরিচালক, বাংলা একাডেমী প্রাক্তন চেয়ারম্যান, বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আল কোরআনের বিষয় অভিধান' বইটি এ যুগের নিতান্ত জরুরী একটি প্রয়ােজন মিটানাের প্রয়াসরূপে স্বীকৃত হওয়ার যােগ্য বলে আমি মনে করি। বাংলার প্রতিটি কুরআন প্রেমীর নিকট আসাদ বিন হাফিজের এ গ্রন্থ পরম আদর পাওয়ার দাবী রাখে। -মাওলানা মুহিউদ্দীন খান নীতি সম্পাদক, মাসিক মদীনা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, রাবেতা আলম আল ইসলামী। মূলতঃ এটি গবেষণা পুস্তক। কষ্টসাধ্য প্রকাশনা। সাহিত্যের বহুমাত্রিক জগৎ ডিঙ্গিয়ে এমন একটি বিশেষ দিকে নজর দেয়া সহজ ব্যাপার নয়। কঠিন দায়িত্ব পালনের জন্য লেখক তথা সংকলক আনুষ্ঠানিক ধন্যবাদ ও মােবারকবাদ পেতে পারেন। আমরা গ্রন্থটির বহুল প্রচার কামনা করি। সাপ্তাহিক বিক্রম ১১/১০/৯৩ আসাদ বিন হাফিজের এ গ্রন্থটির সুবিধা এই যে, বিষয়গুলাে অভিধানের মত করে সাজানাের ফলে খুব সহজেই কাঙ্খিত আয়াতটি বের করা সম্ভব। কুরআনকে বুঝার ক্ষেত্রে গ্রন্থটি খুবই সহায়ক হবে বলে আমাদের নীতি বিশ্বাস। -দৈনিক ইত্তেফাক ৩০/১১/৯৫ অভিধানখানি বিষয়ভিত্তিক। লেখক বাংলা বর্ণমালার ৩১টি বর্ণের আওতায় প্রায় ৬০০টি শিরােনামে প্রায় ৩৫০০ আইটেমে বা দফায় সংগৃহীত উপাত্ত ব্যবহার করেছেন। বৃহৎ এই বইটিতে লেখক প্রথমতঃ বিষয় শিরােনাম দিয়েছেন, তার নীচে বিধৃত বিষয়ের বিভিন্ন উপশিরােনামে আল কুরআনের পারা, সূরা, রুকু ও আয়াত সংখ্যা ক্রমবিন্যাস অনুযায়ী দিয়েছেন। -দৈনিক সংগ্রাম ০২/১২/৯৪ বইটি যুগােপযােগী ও সময়ােপযােগী। ছাপা, বাঁধাই, প্রচ্ছদ চমৎকার। মূল্য যুক্তিসংগত। পবিত্র কুরআনের অভিধান ও শব্দকোষের দীর্ঘদিনের অভাব পূরণ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। বইটির বহুল প্রচার কামনা করি। -দৈনিক রূপালী ০৩/০৬/৯৪
আসাদ বিন হাফিজ (জন্ম: জানুয়ারী ১, ১৯৫৮)গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানার অন্তর্গত বড়গাও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মুহাম্মদ হাফিজউদ্দীন মুন্সী এবং মাতা জুলেখা বেগম। বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট কবি, প্রাবন্ধিক, গল্পকার এবং ছড়াকার হিসেবে পরিচিত। তিনি আদর্শিক দিক দিয়ে ফররুখ আহমদের অনুসারী। তাঁর সাহিত্যে বাংলার মুসলিম সমাজের পুনর্জাগরণ এবং বিপ্লবের অণুপ্রেরণা প্রকাশ পেয়েছে। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে সৃজনশীলতার পাশাপাশি তিনি সাহিত্যে ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গির ব্যবহারেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তার সাহিত্যে বিপ্লবী চিন্তা-চেতনারও প্রকাশ ঘটেছে। তিনি ইসলামী সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সাথে জড়িত আছেন। কবি আসাদ বিন হাফিজ ১৯৮০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক(সম্মান) ডিগ্রী অর্জন করেন। এছাড়া তিনি ১৯৮৩ সালে একই প্রতিষ্ঠান থেকে বাংলা সাহিত্যে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করে তিনি কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, শিশু সাহিত্য, গবেষণা, সম্পাদনা ইত্যাদি সাহিত্যের সব শাখাতেই কবি আসাদ বিন হাফিজ রেখেছেন তার অসামান্য প্রতিভার স্বাক্ষর। তিনি প্রায় ৮১টি গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন। কবি আসাদ বিন হাফিজ তার বর্ণাঢ্য কর্ম ও সাহিত্যের স্বীকৃতিস্বরূপ অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।