"হিন্দু ধর্মগ্রন্থ বেদ-পুরাণে আল্লাহ্ ও হযরত মোহাম্মদ" বইয়ের ভূমিকা: ঐতিহাসিক বিষয়ে গবেষণা করার প্রতি দুর্নিবার আকাঙ্ক্ষা ও অভিলাষ নিজের অন্তরে সর্বদাই পােষণ করি। বেদ, বাইবেল, শিখ এবং বৌদ্ধ-গ্রন্থে যে অন্তিম ঋষির আগমন সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা হইয়াছে তাহাতে ইসলামের নবী মােহাম্মদ সাহেবের কথাই প্রমাণীত হয়। অতপর আমার অন্তরে এই প্রেরণা জাগ্রত হয় যে, এই সত্য মতবাদ প্রকাশ করা একান্তভাবেই আবশ্যক। যদিও উহা কোন কোন মানুষের নিকট অপ্রিয় লাগে। মােহাম্মদ সাহেবের পূর্ব যুগে ভারত তথা আরববাসীগণের একই ধর্ম ছিল। ইহার বহু প্রমাণ বিদ্যমান। কিন্তু উহা উদ্ধৃত করার ইহা উপযুক্ত স্থান নহে। আমি ধর্মীয় সংকীর্ণতার পক্ষপাতিত্ব করি না। যদি কোন স্থানে কোন সত্য কথা থাকে তাহাকে অস্বীকার করারও দুঃসাহস করিতে পারি না। আমি হিন্দু ধর্মগ্রন্থসহ বিভিন্ন ধর্মীয় শাস্ত্র অধ্যয়ন করিয়া যে শাস্ত্রীয় নির্দেশ প্রাপ্ত হইয়াছি তাহাতে আমি একান্তভাবেই বিশ্বাস করি কল্কি মতবাদই পৃথিবীর সর্বশেষ মতবাদ। এই মতবাদ মৌলিক বলিয়া ইহাই সুস্পষ্ট প্রকৃত মৌলবাদ। তাই আমি বিশ্ববাসীকে এই কল্যাণকর মতবাদ গ্রহণের জন্য সর্বান্তকরণে আহ্বান জানাইতেছি। আমি আশা করি আমার প্রণীত গ্রন্থ গবেষণা হইয়া বিশ্ববাসীর সামনে শ্বাশত সত্য প্রকাশিত হইবে। ইদানিং ইহার সুস্পষ্ট আলামত প্রকাশ পাইতেছে যাহা বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করিতেছেন। বেদসমূহে দ্বাদশ পত্নীধারী এক উষ্ট্রারােহ ব্যক্তির আগমণের ভবিষ্যদ্বাণী করা। হইয়াছে, যাহার নাম নরাশংস অর্থাৎ এমন শব্দ নরস ব্যক্তিকে সূচিত করে যাহার নামের অর্থ হইবে প্রশংসিত। একমাত্র মােহাম্মদ আরবী শব্দের অর্থ ‘প্রশংসিত। অতএব মােহাম্মদ এবং নরাশংস একার্থবােধক শব্দ। আমি আলােচ্য গ্রন্থে সেই সত্যই উঘাটন করার যথাসাধ্য চেষ্টাই করিয়াছি।
Title
হিন্দু ধর্মগ্রন্থ বেদ-পুরাণে আল্লাহ্ ও হযরত মোহাম্মদ