মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলীপুরী তাঁর বয়ানগুলির মাধ্যমে অসংখ্য মানুষের হৃদয়ে ইসলামের মূলনীতিগুলো গেঁথে দিয়েছেন। তিনি আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের প্রতিনিধি হিসেবে ইসলামিক দর্শন এবং শিক্ষার ব্যাখ্যা দিতেন, যা তার শোনা বয়ানগুলিতে স্পষ্ট প্রতিফলিত হয়।
নিচে তাঁর কয়েকটি নির্বাচিত বয়ানের বিষয় তুলে ধরা হলো: ১. তাওহীদ এবং রিসালাত: মাওলানা ওলীপুরীর বয়ানগুলোতে তিনি আল্লাহর একত্ববাদ এবং প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) এর রিসালাত বা বার্তাবাহকত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করতেন। তিনি মানুষের ঈমান শক্তিশালী করার উপর গুরুত্ব দিতেন এবং তাদের আল্লাহর পথে চলার আহ্বান জানাতেন।
২. আখলাক (নৈতিকতা): মাওলানা ওলীপুরী ইসলামের নৈতিকতা ও চরিত্র গঠনের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করতেন। তিনি বলতেন, একজন মুসলিমের জন্য আখলাক হলো তার জীবনের প্রধান অংশ, যা তাকে আল্লাহর কাছে প্রিয় করে তোলে।
৩. সালাত ও ইবাদত: সালাতের গুরুত্ব ও তার নিয়মাবলী সম্পর্কে তাঁর বয়ান ছিল অত্যন্ত স্পষ্ট ও হৃদয়গ্রাহী। তিনি বারবার জোর দিয়ে বলতেন, সালাত একজন মুসলমানের জীবনের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব এবং এটি আল্লাহর কাছে নিকটবর্তী হওয়ার মাধ্যম।
৪. আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের বিশ্বাস: মাওলানা ওলীপুরী আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের মূল বিশ্বাস ও নীতিগুলো ব্যাখ্যা করতেন এবং অন্যান্য ইসলামী চিন্তাধারার সাথে এর পার্থক্য তুলে ধরতেন। তিনি আহলে সুন্নতের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরতেন এবং ইসলামি শিক্ষার ভিত্তিতে তাদের মানসিকতা গড়ে তোলার আহ্বান জানাতেন।
৫. পরকালীন জীবন: মাওলানা ওলীপুরী পরকালে বিশ্বাসের গুরুত্বের ওপর জোর দিতেন। তিনি মৃত্যুর পরের জীবনের প্রস্তুতি সম্পর্কে আলোচনা করতেন এবং মানুষকে দুনিয়াবী মোহ থেকে বিরত থেকে আখিরাতের জন্য প্রস্তুত হতে উৎসাহ দিতেন।
৬. ইসলামী ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি: তিনি ইসলামের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং ইসলামী জীবনধারার গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতেন। বিশেষত, মুসলমানদের সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় চেতনাকে সমুন্নত রাখার উপর জোর দিতেন।
মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলীপুরীর বয়ানগুলি কেবলমাত্র ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়ার জন্যই ছিল না, বরং সেগুলি মানুষের জীবনে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনার উদ্দেশ্যে ছিল। তাঁর বয়ানগুলি আজও অনলাইনে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যায়, যেখানে ইসলাম সম্পর্কে গভীরতর জ্ঞান অর্জনের জন্য মানুষ সেগুলো শুনে থাকে।