bঘাড়ে ব্যথা /bbr(কিছু অংশ)brbr গ্রীবাভঙ্গিমা সঠিক রাখুনbr কারুর গ্রীবা রাজহংসের মত লম্বা ও সুন্দর ওরা মরালগ্রীবার অধিকারী। কেউ বা ঘাড়ে-গর্দানে এক অর্থাৎ কাঁধ থেকেই যেন মাথা শুরু। কেউ পছন্দ করেন মাথা নিচু করে থাকতে— ওঁদের দেখেই মনে হয় যেন আত্মবিশ্বাসের অভাব। কুঁজো লোকেরা স্বভাবতই হাড়গিলে— অর্থাৎ ওঁরা কাজ করেন ঘাড় সামনে ঝুঁকে কিন্তু মাথাটা পেছন দিকে বাঁকিয়ে। সাড়ে পাঁচফুট দুনিয়ায় বেঁটে লোকদেরও বেশ অসুবিধায় পড়তে হয়। ব্যাঙ্ক-পোস্টাপিসের কাউন্টারের ওপাশের লোকের সঙ্গে কথা বলতে গেলে ওঁদের ঘাড় উঁচু করে মাথা পেছনে বাঁকিয়ে চলতে হয়। তেমনি বাইফোকাল চশমা পরে যাঁরা কম্পিউটারে কাজ করেন তাদেরও কম্পিউটার স্ক্রিন দেখতে হয় মাথা পেছনে বাঁকিয়ে অর্থাৎ ঘাড়ের অগ্রবক্রতা (lordosis) বাড়িয়ে। বিশাল ভুড়ি যাঁদের নিত্যসঙ্গী তাদেরও ঘাড়ের অগ্রবক্রতা বেড়ে যায়— কোমরের তো বাড়েই। গুরুস্তনভারে যাঁরা ঈষৎ আনতা, সেইসব মহিলারাও ঘাড়ে ব্যথায় বেশি ভোগেন, কেননা তাঁদের গ্রীবাগ্রবক্রতা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে। ‘পীনোন্নত বক্ষ' এবং ‘প্রশস্ত নিতম্বযুক্ত জঘন’-ধারীরা কবি কালিদাসের প্রশংসাপত্র পেলেও ঘাড়েব্যথায় কম ভোগেন না। অতিরিক্ত ভুঁড়ি, স্থূলস্তন কোমরের অগ্রবক্রতা বাড়ায়, বুকের মেরুদণ্ডের পশ্চবক্রতা বাড়ায় (lcyphosis) ফলে গ্রীবার অগ্রবক্রতাও যায় বেড়ে। আবার যাঁরা মাথা সামনে ঝুঁকিয়ে কাজকর্ম করেন- ঘাড়ের মেরুদণ্ডের অগ্রবক্রতা কম থাকা সত্ত্বেও তাঁরা বেশি ভোগেন ঘাড় ও হাতের ব্যথায়। অর্থাৎ এ যেন শাখের করাত— অগ্রবক্রতা বাড়লেও বিপদ, কমলেও মুশকিল !br