বাংলার ইতিহাস নেই বলে বঙ্কিমচন্দ্র আক্ষেপ করেছিলেন, বাঙালীর ইতিহাস চর্চায় উদ্যোগী হতে আহ্বান জানিয়েছিলেন। বিদ্যাসাগর নিজেই বাংলার ইতিহাস অনুবাদে হাত লাগিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ তাে সব অক্ষমতা ঔদাসিন্য ঝেড়ে ফেলে স্বচ্ছ ইতিহাস নির্মাণে ব্রতী হওয়ার জন্যে সারস্বত সমাজকে প্রাণিত করেছেন। নীহাররঞ্জন রায় ‘বাঙ্গালীর ইতিহাস’ রচনাকে তার জীবনের ব্রত করেছিলেন। কিন্তু আদি পর্বের পর তিনি আর অগ্রসর হতে পারেননি। আমাদের ওপর তারা দায়িত্ব দিয়ে গেছেন বাঙালির আত্ম আবিষ্কারের কাহিনি রচনার। সুখের কথা বীরভূমের বুধমণ্ডলীর একাগ্র আন্তরিকতায় ও কলকাতার দীপ প্রকাশনের সহযােগিতায় ‘বীরভূমি বীরভূম’ রচনায় আমরা উদ্যোগী হয়েছি। বীরভূম অতি প্রাচীন অঞ্চল, ইতিহাসের নানা পর্বে নানা নামে তার পরিচয়। তার ভৌগােলিক সীমারেখাও ইতিহাসের অনুবর্তনে পরিবর্তিত হয়েছে বারংবার। কিন্তু তার অরণ্যে, জমাট রক্তমাটির নিবিড় বাঁধনে, দামাল দুরন্ত নদীর জলস্রোতে, আউল-বাউলদরবেশ ফকিরের কাঁদন লাগানাে কণ্ঠস্বরে, সাধকের সাধনায়, রাজনৈতিক বিদ্রোহে, সঙ্গীত-সুরচর্চায়, সাহিত্যে এবং সর্বোপরি আকাশের মতাে রবীন্দ্রনাথের সর্বব্যাপী। উপস্থিতিকে বীরভূম স্বাতন্ত্র্য অর্জন করেছে। বীরভূমের অতীত ও ঐতিহাসিক ঐতিহ্য,