“আধুনিক কেক বিস্কুট ফাস্ট ফুড" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ বিয়ে, জন্মদিন এবং এই ধরনের বিভিন্ন উৎসবে কেক ছাড়া কেউ কিছু ভাবতেই পারেন না। কেক হলাে এসব উৎসবের প্রধান উপকরণ। এর সাথে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফাস্ট ফুড। যেগুলাে আমাদেরকে সংগ্রহ করতে হয় পাশের কনফেকশনারী বা বেকারী থেকে। যেগুলাের মধ্যে অধিকাংশই স্বাস্থ্যসম্মত এবং মানসম্মত হয় কিনা তা আমাদের জানা নেই। অথচ ইচ্ছা করলে আমরা ঘরে বসেই তৈরি করতে পারি বেকারী মানের এইসব কেক, বিস্কুট আর ফাস্ট ফুডের বিভিন্ন আইটেম। যেগুলাে উপরােক্ত উৎসবের প্রধান আকর্ষণ হয়ে উঠতে পারে। এছাড়া, বিভিন্ন সময়ের চটজলদি মেহমানদারী, বাচ্চাদের টিফিন, সকাল বিকালের নাস্তার যেসব উপকরণ আমরা বেকারী কিংবা কনফেকশনারী থেকে ক্রয় করি সেগুলাে। বিকল্প হিসেবেও আমরা বানাতে পারি নানা ধরনের খাদ্যদ্রব্য। এজন চাই সঠিক মানের রেসিপি সমৃদ্ধ ধ্যানধারণা। এই বইতে কেক বিস্কুট এবং ফাস্ট ফুড সম্পর্কিত রান্নাগুলাের রেসিপি বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করে তুলে ধরা হয়েছে। বইটি লেখার সময় ইন্টারনেটের বিভিন্ন সাইটের শরণাপন্ন হতে হয়েছে। নির্ভর করতে হয়েছে টেলিভিশনে প্রচারিত বিভিন্ন রান্নার আইটেমের উপরও। সর্বোপরী বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত রান্নাগুলাে থেকে বেছে নেয়া হয়েছে সঠিক সময়ের সঠিক রান্নাটি। তারপর যাচাই বাছাই ও উপযুক্ত সম্পাদনার মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে এই বইতে। বিশেষভাবে স্বীকার করতে চাই, http://nazmas.blogspot.com নামের সাইটটির নাম। উক্ত সাইটটি সত্যিই অসাধারণ কাজের বলে মনে হয়েছে। বইটি লেখার সময় এই সাইট ছাড়াও অন্যান্য আরও অনেক সাইটের উপর নির্ভর করতে হয়েছে। আমি সর্বান্তকরণে তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। তবে এই সাথে জানানাে হচ্ছে রান্নাগুলাে বাজার চলতি অন্যান্য বইয়ের মতাে শুধু কপি এবং পেস্ট করা নয়। বরং নিজের কিছু আবিস্কৃত ও স্বীকৃত তথ্যাবলী সংযােজন করা হয়েছে। রান্নাগুলাের প্রায় প্রতিটি পদ রান্না করে সাক্ষাৎ রসনা তৃপ্তির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সুতরাং আশা করা যাচ্ছে, এই বইটি সবধরনের পাঠক সমাজে সাদরে গ্রহণযােগ্য হবে। পরিশেষে বইটি সকলের উপকারে লাগলেই আমার সকল শ্রম সার্থক হবে।