ফ্ল্যাপে লিখা কথা বিশ্ববাসীর জন্যে মহান দয়াময় আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রদত্ত অনুগ্রহরাজির মধ্যে সবচেয়ে বড় অনুগ্রহ হলো তিনি যুগ থেকে যুগান্তরে কাল থেকে কালান্তরে পথ ভুলা বনি আদমকে রাহে হকে পরিচালিত করার জণ্যে নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন। নবী হলেন , যিনি নতুন কোন আসমানী কিতাব প্রাপ্ত হতেন না বা শরীয়তপ্রাপ্ত হতেন না বরং অণ্য রাসূলের অনুসারী হতেন। পক্ষান্তরে রাসূল নতুন কিতাব ও শরীয়ত প্রাপ্ত হতেন। পবিত্র কোরআনে পঁচিশজন নবী রাসূলের উল্লেখ এসেছে। এঁদের মধ্যে আবার বিখ্যাত হলেন-হযরত নূহ (আ:) , হযরত ইব্রাহিম (আ:) , হযরত মুসা (আ:) , হযরত ঈসা (আ:) কিন্তু তাদের কেউ একক ভাবে বিশ্ব বাসীর জন্যে রহমত হিসেবে আসেনি বরং তাদে জিম্মাদারী সীমিত একটি গোত্র , এলকা বা জনপদের জন্য নির্দিষ্ট ছিল। কিন্তু আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্যে নবুওত ও রিসালতের রহমত নিয়ে প্রেরিত হয়েছিলেন। বর্বরতায় সেই ।আঁধারে ঢাকা জাহেলিয়া যুগে , বিশ্ব ভ্রহ্মণ্ডের সৃষ্টিকারী আল্লাহ রাব্বূল আলামিন আমাদের মুক্তির একমাত্র দিশারী বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত সায়িদ্যুল মুরসালিন নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রেরণ করেন মহাগ্রন্থ আল কোরআন দিয়ে। যে সমাজের মানুষেরা যুদ্ধ বিগ্রহ , গোত্রকলহ, খুনোখুনি, লুটপাটসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত থাকতো, জুয়া আর মদের মাঝে ডুবে থাকতো অবসর সময়।সেটাকে তারা মনে করত অবসর বিনোদনের একটি উপায়। সেই আরবের মরু প্রান্তর ছিলো জাহেলিয়াতের আঁধারের মূল কেন্দ্র। মুক্তির উপায় খুঁজছিল বিশ্ব মানবতা। এই অমানিশার কালো আঁধার থেকে মুক্তির উপায় খুঁজছিলো আরবের মানুষেরা। আল্লাহতালা আরবের সেই অসত্য বর্বর মানুষগুলোকে সভ্যতার পথ দেখাতে এই দুনিয়ায় প্রেরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নবী , বিশ্ব মানবতার মুক্তির আলোক বর্তিকা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে। সূচি: * সৃষ্টির সেরা মহামানব * বিশ্বনবী সমগ্র সৃষ্টির রহমত * মানবতার নবী হযরত মুহাম্মদ (স:) * মানব প্রেমিক মুহাম্মদ (স:) * বিশ্ব শান্তিপ্রতিষ্ঠায় বিশ্ব নবী (স.) এর অবদান * রাসূল (স.) বিশ্বের জন্যে রহমত * বিশ্ব মানবতার সর্বশ্রেষ্ঠ পথপদর্শক * মহানবী আদর্শ ও আজকের প্রেক্ষাপট * প্রিয় নবী (ম.)এর মহান মর্যাদা * প্রতিশ্রুতি পয়গম্বর হযরত মুহাম্মদ (স.) * অন্তরঙ্গদের দৃষ্টিতে মহানবী (স.) * কোরআন হাদীস ও যুক্তির দৃষ্টি কষ্টিপাথরে মিরাজুন্নবী(স.) * মহানবী (স.) ও মানবাধিকার * আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতিতে রাসূলুল্লাহ (স.) এর প্রভাব * রাসূলের (স.) এর চিরন্তর আদর্শ * আদর্শের ঠিকানা এখনও অমলিন * ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় হযরত মুহাম্মদ (স.) * নবীজী মিলাদের ঈদে আমাদেরও নবজন্ম হোক * তাওরাত ও ইঞ্জিলে মহনবী (স.) প্রসঙ্গে * অন্ধকার থেকে দীপ্যমান আলোয় * হিলফুল ফুযুল ও মুহাম্মদ (স.) * প্রিয়তম রসূল (স.) এর দুটি অসিয়ত * হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দয়া, ক্ষমা, সহমর্মিতা ও নিষ্ঠুরতার মোকাবিলা * বিশ্বনবী (স.) এর চারিত্রিক গুনাবলী * সমাজসেবক -সংস্কারক-ন্যায়বিচারক-ধর্ম প্রবর্তক ও সাম্রাজ্য স্থাপক * মহানবী (স.) এর মিরাজ * নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মহানবী (স.) * কবি ও নবী , প্রেম ও ওহী * আত্নার পরিচয় : নিজেকে জানা * বিশ্বমানবতার মূর্ত প্রতীক হযরত মুহাম্মদ (স.) * রসূলে খোদা (স.) এর মহানুভবতা * মহানবী (স.)-এর চিকিৎসাবিধান * স্বাস্থ্য রক্ষায় রাসূলুল্লাহ (স.) * মাতৃভক্ত মহনবী (স.) * মাদক ও হারাম সম্পর্কে মহানবী (স.) -এর উপদেশ বানী * সাহাবীদের কবিতায় রসূল প্রশস্তি * দ্বীন দুনিয়া ও সালাতের গুরুত্ব * রাসূলেপাক (স.) এর অনুসরণ ও অনুকরণের মাধ্যমেই বুঝা যায় আমরা তাঁকে কতটুকু ভালোবাসি * পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) মানবজাতির জন্যে মহা নিয়ামত প্রাপ্তির দিন * নবীজীর প্রতি ভালোবাসা আল্লাহ প্রাপ্তির পূর্বশর্ত * শ্রেষ্ঠ মানুষের শ্রেষ্ঠ জন্মোৎসব ঈদে মিলাদুন্নবী * পবিত্র ঈদ-ই মিলাদুন্নবী : আধ্যাত্নিক -সামাজিক -সাংস্কৃতিক মূ্ল্য * শবে মেরাজ: স্বপ্ন না বাস্তব * ১২ রবিউল আওয়াল : ইতিহাস পেক্ষাপটে তাৎপর্য ও গুরুত্ব * পবিত্র জন্মদিনে উম্মতের শ্রদ্ধা * পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) এর তাৎপর্য ও গুরুত্ব * মানবজাতির ত্রাকর্তার আবির্ভাব * দিক দর্শন, আল কোরআনের আলোকে * পথ নির্দেশ, আল হাদিসের আলোকে * আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানানো, ১২ই রবিউল আউয়াল
আনু মাহমুদ তরুণ অর্থনীতিবিদ, প্ৰবন্ধকার, কলাম লেখক ও গ্রন্থকার হিসেবে ইতোমধ্যে বেশ পরিচিতি অর্জন করে সুধী পাঠক সমাজে একটি স্থান আয়ত্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। যদিও তিনি তার কর্মপরিসরে সরকারি কর্মকর্তা ও এ্যাডমিনেস্ট্রেটিভ সার্ভিসের সদস্য হিসেবে মোঃ মাহমুদুর রহমান নামেই সমধিক পরিচিত। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ সরকারের উপসচিব এবং জাতীয় গ্ৰন্থকেন্দ্রের পরিচালক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। আনু মাহমুদ বেশ সময় ধরে লেখা-লেখির সাথে জড়িত রয়েছেন এবং অনেক চড়াই উৎরাই করে দীর্ঘ পথ পরিক্রমার মাধ্যমে পরিস্ফুটিত হয়েছেন গ্রন্থকারের বর্তমান অবস্থানে এবং সংগ্রহের ঝুলিতে অর্জন করেছেন আর্থ-সামাজিক সমস্যা সম্পর্কিতসহ বহু বিষয় ভিত্তিক গ্রন্থের সফলতা, যা ইতোমধ্যে পাঠক সমাজে বেশ সমাদৃতও হয়েছে। তাঁর লেখালেখির শুরু হয়েছে সেই ছাত্র অবস্থা থেকে, আর তা ক্ৰমান্বয়ে শিকড় গেড়ে পত্র পল্লবে শোভিত হয়ে শাখা বিস্তার করে বর্তমানে রূপ নিয়েছে কাণ্ডে, বৃক্ষে। কিন্তু তার প্রত্যাশা রয়েছে একে ব্যাপক প্রসার ঘটিয়ে এক বিরাট বটবৃক্ষের রূপ দেয়ার। লেখালেখির জগতে যেমন জড়িযে আছেন তেমনি আর্থ-সামাজিক সংগঠনের সাথে। তাঁর স্ত্রী আনোয়ারা মাহমুদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তাদের দুই সন্তান চাঁদনি ও ইযু। তিনি বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এবং সাবেক সংসদ সদস্য, জনাব মজিবর রহমান তালুকদারের দ্বিতীয় সন্তান।