"মুসলিম কি চার মাযহাবের কোন একটির অনুসরণে বাধ্য"বইটির সম্পর্কে সম্পাদকের কিছু কথা: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্যে, যিনি সমগ্র বিশ্বের সার্বভৌম ক্ষমতার নিরঙ্কুশ অধিপতি। শান্তি ও কল্যাণ বর্ষিত হােক সম্মানিত রসূল এর প্রতি এবং তাঁর বংশধর ও সহচর এবং সকল মুসলিমের প্রতি। অতঃপর নিঃসন্দেহে মুহাম্মাদী উম্মাত এক ও অখণ্ড উম্মাত। আল্লাহ এ উম্মাতকে তার ঐক্য অক্ষুন্ন রাখার জন্যে নির্দেশ দিয়েছেন এবং দলাদসৃিষ্টি করতে নিষেধ করেছেন এ ভাষায় واعتصموا بحبل الله جميعا ولا تفقوا» (آل عمران۱۰۳) “তােমরা সমবেতভাবে আল্লাহর রজ্জুকে ধারণ কর এবং দলে দলে বিভক্ত হইও না। (আলু ইমরান ১০৩) তিনি উম্মতের জন্যে এ ঐক্যের ভিত্তি ও তার উপাদানসমূহ নির্ধারণ করেছেন এভাবে যে, তার রব ও ইলাহ এক এবং নাবী আর কিবলা এক। এবং গন্তব্যও এক। এতদসত্ত্বেও এ উম্মাত কেবলমাত্র দল ও দলাদলির পথই বেছে নিয়েছে, একমাত্র তারা ব্যতীত যাদের প্রতি আল্লাহ রহম করেছেন। ফলে রসূল আমার যা বলেছিলেন, তা বাস্তবে ঘটে গেছে। “নিশ্চয়ই বানী ইসরাঈল অন্য বর্ণনায় আহলে কিতাব বাহাত্তর দলে বিভক্ত হয়েছিল। আর আমার উম্মত তিহত্তোর দলে বিভক্ত হবে (অর্থাৎ প্রবৃত্তির পূজারী হবে)। একটি দল ছাড়া সবাই জাহান্নামে যাবে। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ রসূল ! নাজাত প্রাপ্ত দলটি কোটি? রসূল সাঃ বললেন, আমি ও আমার ছহাবীগণ যার উপর প্রতিষ্ঠিত আছি। অপর বর্ণনায় এসেছে ঐটি হল ‘জামা'আত'। অন্য বর্ণনায় ‘মিল্লাহ’-এর পরিবর্তে ফিরকাহ’ আছে। হাদীসটি তিরমিযী, আবু দাউদ, ইবনু মাজাহ বর্ণনা করেছেন। (সহীহ জামে হা/ ৫২১৯; সিলসিলাহ সহীহাহ ২০৩/২০৪/১৩৪৮ পৃঃ) মুসলিম উম্মাতের চার মাযহাবে বিভক্ত হওয়াটা যা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অবাঞ্ছিত হলেও যেহেতু আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া হয় নি, তাই নির্ভরযােগ্য আলিমগণ চার মাযহাবকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'আত এর মধ্যে গণ্য করেছেন। সুতরাং অবশ্যই এতে উপকারের দিকও কিছু রয়েছে। কিন্তু এ উপকারগুলাে কেবল তাদের পক্ষে অর্জন করা সম্ভব যারা কোন একটিতে ভর্তি