আল্লাহ তাআলা কিয়ামত পর্যন্ত সময়ের জন্য ইসলামকে তাঁর মনোনীত দ্বীন হিসাবে ঘোষণা করেছেন এবং ইসলামের অভ্যুদয়ের সাথে সাথে পূর্ববর্তী সকল ধর্ম রহিত হয়ে গেছে। এখন ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম আল্লাহ পাকের নিকট গ্রহণযোগ্য নয়। জাহান্নাম থেকে মুক্তির একমাত্র সনদ হচ্ছে ইসলাম। রাসূলুল্লাহ সা. তাঁর ২৩ বছরের নবুওয়তি যিন্দেগীতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গভাবে উম্মতকে সোপর্দ করে গেছেন এবং তাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছেন সারা পৃথিবীতে এটিকে ছড়িয়ে দিতে। মুসলমান যতদিন এই দায়িত্ব পালন করবে ততদিন পৃথিবী রবে, ইসলামের প্রচার প্রসার বাকি থাকবে। আর এই দায়িত্বে অবহেলা করতে থাকলে মানুষ ও মানবতা জাহেলিয়াতের আবর্তে ঘুরপাক খেতে থাকবে। বড়ই পরিতাপের বিষয় যে, মুসলিম মিল্লাত আজ নিজেদের এই দায়িত্ব ভুলে ভোগ-বিলাসের মধ্যে লিপ্ত হয়ে পড়ার কারণে মানুষ আজ ইসলাম থেকে দূরে সরে যেয়ে জাহান্নামের দিকে ছুটে চলছে। পৃথিবীর ৭০০ কোটি মানুষের মধ্যে মাত্র ২০০ কোটি মানুষ মুসলমান আর অবশিষ্ট ৫০০ কোটি মানুষ অন্যান্য মনগড়া কিংবা বাতিল ধর্মের অনুসারী আল্লাহ পাকের ক্রোধে নিপতিত হয়ে চিরস্থায়ী ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে এসব আল্লাহ ভোলা মানুষকে আল্লাহর সাথে জুড়ে দেয়ার দায়িত্ব আমার আপনার সকল মুসলমানের। আমরা যত তাড়াতাড়ি এই দায়িত্ব উপলব্ধি করতে পারব ততই কল্যাণ। আলহামদুলিল্লাহ...! অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে, মুফাককিরে ইসলাম হযরত মাওলানা সায়্যিদ আবুল হাসান আলী নদভী এবং হযরত থানভী রহ. এর সুযোগ্য খলিফা মাওলানা মুহাম্মদ আহমদ প্রতাপগড়ী রহ. এর স্নেহধন্য ও অন্যতম খলীফা হযরত মাওলানা কালীম সিদ্দীকি সাহেব দা. এমন একজন দাঈয়ে ইসলাম যাঁর অন্তরে সবসময় উম্মতের জন্য ফিকির আর দরদ তাঁকে বেচাইন করে রেখেছে। আর এই নেচাইনীর কারণে তিনি ভারতের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে। তাঁর মেহনত ও দাওয়াত এ পর্যন্ত শত শত হিন্দু,খৃষ্টান,বৌদ্ধ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে জান্নাতের পথের পথিক হয়ে গেছে। মুজাফফর নগর জেলার ফুলাত নামক থানায় তিনি একটি দ্বীনি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন এবং সেই আদলে সারা ভারতবর্ষে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। সেখান থেকে হিকমতের সাথে ইসলামের দাওয়াত ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। তাঁর হাতে যে সব অমুসলিমরা ইসলাম গ্রহণে ধন্য হয়ে তাঁর সাক্ষাৎকার সম্বলিত একটি মাসিক পত্রিকা তাঁর তত্ত্বাবধানে ফুলাত থেকে প্রকাশিত হয়। উক্ত পত্রিকা পড়েও অনেকে ইসলাম গ্রহণে উদ্বুদ্ধ হয়ে থাকেন। হযরত মাওলানার সুযোগ্য সন্তান মাওলানা আহমদ আওয়াহ নদভী এবং তাঁর বোনেরা এসব নওমুসলিমদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে থাকেন। আলহামদুলিল্লাহ...! রওশন শাহ কাসেমী সাহেব পত্রিকায় প্রকাশিত সেসব সাক্ষাৎকার আরও সুবিন্যস্ত করে তাকে কিতাবী আকৃতি দিয়ে প্রকাশ করার সুব্যবস্থা করেছেন। যা "নাসীমে হেদায়াতকে ঝোনকে" নামে ছয় খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে। আমরা উর্দু কিতাবের বাংলা অনুবাদ "মন্দির থেকে মসজিদে" নাম দিয়ে পাঠকদের হাতে তুলে দিতে পেরে আল্লাহ পাকের দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। আশা করি উর্দুভাষী পাঠকদের মত বাংলা ভাষাভাষি পাঠকরাও এর দ্বারা উপকৃত হবেন। ইনশাআল্লাহ....!!!