"বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ (সর্বশেষ সংশোধনী ২০১৮ ও নিম্নতম মজুরীর হার ২০১৮ সহ)"বইটির প্রথমের কিছু কথা: শ্রম অধিকারের আইনগত সুরক্ষা দিতেই ২০০৬ সালে প্রণীত হয় বাংলাদেশ শ্রম আইন। কিন্তু কার্যকরভাবে অধিকার সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বারংবার সংশােধন করতে হয়েছে আইনটি। গত ২৪ অক্টোবর শ্রমিক নিয়ােগ, দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু বা জখমের ক্ষতিপূরণ, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন, শিল্প বিরােধ উত্থাপন ও নিষ্পত্তি, নারী শ্রমিকের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও কল্যাণ সংক্রান্ত বিষয়ে সংশােধনী এনে জাতীয় সংসদে পাস হয় বাংলাদেশ শ্ৰম (সংশােধন) আইন, ২০১৮'। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধ্বংসের পর, আইএলও এবং অন্যান্য শ্রমিক সংগঠনের চাপের মুখে শ্রম আইনকে শ্রমিক-বান্ধব করতে ব্যাপক সংশােধনী আনা হয়েছিল। এবারের সংশােধনীতেও শ্রমিকদের স্বার্থ সুরক্ষা করতে তাদের জোর দাবি ছিল। এ সংশােধনীতে আনিত উল্লেখযােগ্য পরিবর্তনগুলাে এখানে আলােচনা করা হলাে। এ সংশােধনীর মাধ্যমে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অর্থাৎ, ১৪ বছরের কম বয়সি কোনাে শিশুকে কোনাে কারখানায় নিয়ােগ দেওয়া যাবে না। তবে পূর্বের বিধানমত ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সি কিশােরদেরকে কিছু প্রতিবন্ধকতা মেনে কারখানায় শ্রমিক হিসেবে নিয়ােগ দেওয়া যাবে। আগে ১২ বছরের শিশুদেরকে হালকা কাজে নিয়ােগ দেয়া যেত। এখন ১৪ বছরের নীচে কাউকে নিয়োেগ দিলেই পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার বিধান প্রযােজ্য হবে। আগে ট্রেড ইউনিয়ন করার জন্য কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের কমপক্ষে ৩০ শতাংশের অংশগ্রহণ প্রয়ােজন ছিল। এখন তা কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে, যদিও শ্রমিক সংগঠনগুলাের দাবি ছিল তা ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা। অর্থাৎ, এখন শ্রমিকরা চাইলে একটি কারখানায় সর্বোচ্চ ৫ টি ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করতে পারবেন। বাংলাদেশের বাস্তবতায়, যেখানে ট্রেড ইউনিয়নে যােগ দিলে বিভিন্নভেবে নিগ্রহের স্বীকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং শ্রমিকদের কারখানা বদলের প্রবণতা খুব বেশি হওয়ায় কমসংখ্যক শ্রমিক নিয়ে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের বিধান করাই বাঞ্ছনীয়। কোনাে ট্রেড ইউনিয়ন তাদের সদস্যদের চাঁদা ব্যতীত অন্য কোন দেশি- বিদেশি উৎস থেকে চাঁদা আনলে তা সরকারকে অবহিত করতে হবে মর্মে বিধান করা হয়েছে। এছাড়াও, ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম ৬০ দিনের পরিবর্তে ৫৫ দিনের মধ্যে করতে হবে মর্মে বিধান করা হয় নতুন সংশােধনীতে। রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য
Title
বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ (সর্বশেষ সংশোধনী ২০১৮ ও নিম্নতম মজুরীর হার ২০১৮ সহ)
আমিনুল ইসলাম ১৯৬৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার টিকলীচর গ্রামে এক কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা : বেলায়েত আলী মন্ডল, মাতা : সাজেনুর নেসা। বিবাহিত। জীবনসঙ্গিনী : রােকশানা পারভীন লীনা। মেয়ে : ডালিয়া নওশিন লুবনা; ছেলে- রাগিব ইশরাক সজল। চাকরিজীবনে তিনি ভারত, মালেশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, মায়ানমার, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, ইটালি, মিশর, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ফিজি, স্পেন, পর্তুগাল। প্রভৃতি দেশ ভ্রমণ করেছেন। কবি-প্রাবন্ধিক হিসাবে আত্মপ্রকাশ নব্বই দশকে। লেখার বিষয় : কবিতা, প্রবন্ধ, ছড়া এবং সংগীত বিষয়ে গবেষণাধর্মী নিবন্ধ। বলা চলে তিনি নিভৃতচারী মানুষ। কবিতা রচনায় দশকের সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠে শব্দ ও ভাষার ব্যবহারে তিনি কবিতার নিজস্ব একটি ধরন নির্মাণে সক্ষম হয়েছেন বলে তার কবিতার আলােচকগণ প্রায় সকলেই বলেছেন। দুর্বোধ্য নয় অথচ গভীর ব্যঞ্জনাময়-এটি হচ্ছে তার কবিতার সবচেয়ে বড় দিক। মননশীল প্রবন্ধের জন্যও তিনি সমানভাবে স্বীকৃত। তাকে এসময়ের একজন মৌলিক ও শক্তিমান কবি হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি নজরুলসঙ্গীত নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ গবেষণামূলক কাজ করে চলেছেন।