"রত্ন পাথরের ব্যবহার" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ। সবকিছুতে মানুষ এখন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি ও যুক্তি (scientific base and cause) খুঁজতে চেষ্টা করে। কাজেই গ্রহরত্নের উপযােগিতা ও কার্যকারিতা সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক যুক্তি আবশ্যক। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের ছাত্র হিসাবে নিজে এ ব্যাপারে বেশ আগ্রহী। আমার দীর্ঘদিনের সাধনা ও গবেষণার মূলে ছিল জ্যোতিষ শাস্ত্রের বৈজ্ঞানিক ভিত্তির অনুসন্ধান। ডাক্তাররা যেমন চিকিৎসার্থে ঔষধ দেন, আমরা সেক্ষেত্রে গ্রহের প্রতিকার হিসাবে গ্রহরত্ন ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকি। কাজেই গ্রহরত্বের উপাদানগত বৈশিষ্ট্য ও মানবদেহে তা কিভাবে কার্যকরী তার যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা দেয়া প্রয়ােজন মনে করি। আমাদের এই পৃথিবীতে বহির্জগত থেকে একমাত্র আলােক রশ্মিই আসছে। যা পৃথিবীকে সজীব রাখছে। সেইরূপ Cosmic Ray মানবদেহে কার্যকরী। এর কিছু অংশ আমাদের দেহ ও মনের জন্য আবশ্যকীয়। আবার কিছু অংশ ক্ষতিকর। গ্রহরত্ন মূলত: ছাকনী হিসাবে Cosmic Ray-র প্রয়ােজনীয় অংশ দেহে সরবরাহ করে। প্রকৃতি-প্রদত্ত রত্নের Therapy Cosmic Ray = Astro-therapy. এই Astro-therapy মানুষের সূক্ষতম স্নায়ুতে অনুপ্রবিষ্ট হয়ে মানবদেহের যেকোনাে ব্যাধির নিরাময় করতে পারে এবং যে কোনাে মানবীয় দুর্ভাগ্যের অপনােদন করতে পারে।