ভূমিকা আমার ধারণা কিশোর উপন্যাস সমগ্রের এই খণ্ডটি একটু অন্যরকম হয়েছে-অন্যান্য খণ্ডগুলোর তুলনায় এখানে বৈচিত্র্য একটু বেশি। আমার একমাত্র রূপকথাটি এখানে আছে, বাচ্চা সায়েন্টিস্টের উপন্যাসটি এখানে আছে, বিদেশের পটভূমিতে এখানে আছে। এর বাইরে আমার ডানপিটে ছেলেমেয়েদের এ্যাডভেঞ্চার তো আছেই। মেয়েরা মনে হয় এবারে আমাকে বেশি দোষ দিতে পারবে না-তিন তিনটি উপন্যাসের মূল চরিত্র মেয়ে। এই গ্রন্থের উপন্যাসগুলোর মাঝে চোখ বুলিয়ে এবারে দুটো জিনিস চোখে পড়েছে। কিশোর কিশোরীদের জন্যে লেখা আমার প্রায় সব উপন্যাসেই কম বেশি মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারটি চলে আসে। এবারে লক্ষ করেছি আরো একটি ব্যাপার চলে আসেত শুরু করেছে-সেটি হচ্ছে লেখাপড়া আমি মাস্টার মানুষ মাথায় মাঝে লেখাপড়ার ব্যাপারটা মনে হয় পাকাপাকিভাবে ঢুকে গেছে-কিছু লিখতে চাইলে কিভাবে কিভাবে সেটা যেন চলে আসে! যারা পড়ছে তারা যেহেতু সেভাবে প্রতিবাদ করছে না আমি তাই সেটা নিয়ে খুব দুশ্চিন্তা করছি না। বেশ কিছুদিন ছোট একজন পাঠক আমাকে বলেছিল, “আপনি বড়দের জন্যে কেন লিখেন? কক্ষনো লিখবেন না-শুধু আমাদের জন্যে লিখবেন!” আমি মুখ কাচুমাচু করে বলেছিলাম, “বিশ্বাস কর, আমিও আসলে শুধু তোমাদের জন্যেই লিখতে চাই-কিন্তু কী করব বল, বড় বড় মানুষেরা বড় বিরক্ত করে!” আমার মনে হয় আমার সময় হয়েছে শুধু বাচ্চাদের জন্যে লিখা, তার কারণ একটা জিনিস বড় মানুষেরা কখনো দিতে পারে না, ছোটরা পারে। সেটি হচ্ছে ভালোবাসা এবং ভালোবাসা! মুহম্মদ জাফর ইকবাল সূচীপত্র *নাট-বল্টু *বৃষ্টির ঠিকানা *লাবু এল শহরে *রাশা *মেয়েটির নাম নারিনা *লিটু বৃত্তান্ত