মানবচিন্তার ইতিহাসে সকল জাতি ও ভাষারই অংশগ্রহণ, বিনিময় ও আত্তীকরণ রয়েছে। প্রযুক্তি ও মানবচেতনার ঐক্যবোধ তাকে করেছে সহজ ও ত্বরান্বিত। একইসঙ্গে অ্যাকাডেমিক চারিত্র্য ও রচয়িতাদের স্বাধীন পর্যবেক্ষণ, লিখনশৈলী গ্রন্থটিকে গভীরতা দিয়েছে। আমাদের বিশ্বাস এটি বোদ্ধা পাঠকদেরও প্রীত করবে। মানুষ যেমন জীবন যাপন করে, জীবনের। মধ্যেই বসবাস করে তেমনি একে ব্যাখ্যাও করে। ব্যাখ্যা করার প্রবণতা মানুষের সহজাত ক্ষমতা। এই জগৎ ও তার। অন্তর্গত জীবন সাহিত্যশিল্পের আধেয় ও। আধার—দুই-ই। একে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ। বর্ণনার বিবিধ পন্থা ও পদ্ধতি রয়েছে—যা মানুষই তৈরি করেছে দেশকালভেদে। এর। রয়েছে বিবর্তনের দীর্ঘ ইতিহাস। প্রতীচ্য সাহিত্য-সমালোচনাতত্ত্ব দূরাতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত পাড়ি দিয়েছে অনেক পথ। বিশেষ করে গত বিশ শতকে তার ধারা হয়ে উঠেছে মহাকায় ও একইসঙ্গে জটিল। বর্তমান গ্রন্থটিতে সেই মহাকায় ও জটিল তত্ত্বগুলিকে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের পদ্ধতিতে গুচ্ছবদ্ধ করা হয়েছে বিভিন্ন লেখকের পর্যবেক্ষণে ও রচনাশৈলীতে। একইসঙ্গে প্রায়ক্ষেত্রে বাংলা সাহিত্য বিবেচনায় তত্ত্বগুলির প্রয়োগও আলোচিত হয়েছে। এ সূত্রে প্রতীচ্যের তত্ত্ব যে আমাদের ভাষা-সাহিত্যেও প্রয়োগ করা যেতে পারে তা প্রমাণিত, কারণ। মানবচিন্তার ইতিহাসে সকল জাতি ও ভাষারই অংশগ্রহণ, বিনিময় ও আত্তীকরণ রয়েছে। প্রযুক্তি ও মানবচেতনার ঐক্যবোধ তাকে করেছে সহজ ও ত্বরান্বিত। একইসঙ্গে অ্যাকাডেমিক চারিত্র্য ও রচয়িতাদের স্বাধীন পর্যবেক্ষণ, লিখনশৈলী গ্রন্থটিকে গভীরতা দিয়েছে। আমাদের বিশ্বাস এটি বোদ্ধা পাঠকদেরও প্রীত করবে।
গবেষক ও প্রবন্ধকার বেগম আকতার কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের অধ্যাপক। তাঁর জন্ম চট্টগ্রাম শহরে। পিতা মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী ছিলেন একজন সরকারি কর্মকর্তা, মা মজিদা বেগম। বেগম আকতার কামাল ১৯৯২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে ‘বিষ্ণু দে-র কবিমানস ও কাব্য’ শীর্ষক গবেষণার জন্য পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।