বই সম্পর্কেঃ ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের ৬টি বছর আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় ছিলো । সে সময়টা ছিলো আমার কুসুম ফোটার সোনালী দিনগুলি । ক্যাডেট কলেজের পরিবেশ, শিক্ষা, বন্ধুদের সাহচর্য্, শিক্ষকদের দিকনির্দেশনা আমাকে একজন ভিন্ন মানুষরূপে গড়ে তোলে । সেই ক্যাদেট কলেজে পড়ার সময় প্রায় প্রতিদিনি আমার নোটবুকে অত্যন্ত গোপনে কিছু না কিছু লিখে রাখতাম, এবং অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে তা লুকিয়েও রাখতাম, কাউকেই ছুতে দিতামনা আমার গোপন ডায়েরিটি । কলেজ থেকে বেরিয়ে যাবার ৩০ বছর পর, আজ স্বেচ্ছায় এ নোটবুকটি প্রকাশ করতে ইচ্ছা হল। এর আগে কলেজের ১৯৭৮-৭৯ সালের এক বছরের ডায়েরিকে আত্মজৈবনিক উপাখ্যানাকারে প্রকাশ করেছিলাম ২০০৮ সালে, নাম ছিলো ক্লাস সেভেন ১৯৭৮ । এবার তাঁর বাদবাকি অংশ নিরেট ডায়েরির আকারেই ছাপিয়ে দিলাম । সঙ্গে যুক্ত করলাম সে সময়ে আমার সহপাঠি ও শিক্ষকদের ছবিও । সঙ্গে কলেজ ক্যাম্পাসের কিছু ছবি্, পরবর্তি সময়ে তোলা অপরিবর্তিত অবয়বেরই । কিশোর বয়েসে আমি ঠকে ঠকে যা যা শিখেছিলাম, তা থেকে কোন একজনের জন্যও যদি এটা কোন উপকার নিয়ে আসে, আমি মনে করবো আমার সকল গোপন কথা ফাঁশ করে দেয়া স্বার্থক।
শাকুর মজিদ পেশায় স্থপতি, নেশায় লেখক-নাট্যকার-আলোকচিত্রী-চলচ্চিত্র নির্মাতা। শৈশবে কবিতা দিয়ে লেখালেখি শুরু। পরে গল্প, নাটক, ভ্রমণ-কাহিনি লিখেছেন অনেক। নাটকের সকল শাখায় তার বিচরণ। কুড়ি বছর বয়সে সিলেট বেতারে তাঁর লেখা নাটক ‘যে যাহা করোরে বান্দা আপনার লাগিয়া’ প্রথম (১৯৮৫) প্রচার হয় । লন্ডনী কইন্যা, নাইওরী, বৈরাতী, করিমুন নেছা, চেরাগসহ বেশ কয়েকটি টেলিভিশন-নাটক ও টেলিফিল্মের রচয়িতা তিনি। দেশ-বিদেশের ভ্রমণচিত্র নিয়ে তিনশতাধিক প্রামাণ্যচিত্র বানিয়েছেন। দেশ ভ্রমণ তার একটি বড় নেশা। ত্রিশটি দেশ ভ্রমণ করেছেন।তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩২, বেশীরভাগই ভ্রমণকাহিনি, স্মৃতিচারণ ও আত্মজৈবনিক গ্রন্থ।