রোগ-নির্ণয় পদ্ধতি ( Clinical Methods ) মেডিক্যাল ছাত্ররা কলেজে প্রথম দেড়-দু বছরে কেমেস্ট্রি, অ্যানাটমী, ফিজিওলজী পড়া শেষ করে হাসপাতাল ওয়ার্ডে রোগীর সংস্পর্শে আসে ৷ সেখানে শিক্ষকদের কাছ থেকে রোগনির্ণয় পদ্ধতি, রোগের অন্যান্য বৃত্তান্ত ও চিকিৎসার ব্যবস্থা শেখে । ক্লিনিক্যাল কোর্সে প্রথম দিকে রোগীর কাছ থেকে রোগের বিবরণ শোনে ও শিক্ষকদের কাছ থেকে ক্লিনিক্যাল মেথডস ( Clinical Methods) ও ক্লিনিক্যাল একজামিনেশন ( Clinical Examination ) বা রোগী পরীক্ষা করবার পদ্ধতি শেখে ৷ কোনো বিদ্যা যা বিশেষ করে হাতেনাতে শিখতে হয় তার শিক্ষাপদ্ধতি অনেক দিন থেকে প্রায় একই ভাবে চলে আসে। রোগী পরীক্ষার এই পদ্ধতিকে ক্লিনিক্যাল একজামিনেশন বলে এবং যে পদ্ধতিতে শেখানো হয় তাকে বলে ক্লিনিক্যাল মেথডস। এর প্রথম পাঠ হচ্ছে রোগীর প্রতি সহৃদয় ও নম্র ব্যবহার করতে শেখা ৷ এটা সাধারণতঃ শিখতে হয় শিক্ষকদের কাছ থেকে, তাঁরা রোগীর ও তাদের আত্মীয়দের প্রতি কিরকম ব্যবহার করেন তা দেখে। রোগীকে কোন অসুখের রোগী বলে না দেখে অসুস্থ অসহায় মানুষ হিসাবে দেখা উচিত ৷ রোগী পরীক্ষার সময় রোগীর নাম, বয়স, স্ত্রী কিংবা পুরুষ ও তার বাসস্থান লিপিবদ্ধ করা হয় । বর্তমান কষ্ট (Present Complaints) এরপর রোগীর বর্তমান কষ্টের কথা ও সেগুলি কতদিন আছে তা জানতে হয় । একে বলা হয় প্রেজেন্ট কমপ্লেনস্। এগুলি দুইভাগে লেখা যায় । কষ্টের গুরুত্ব অনুপাতে বা সময়ের বিস্তৃতি হিসাবে। সাধারণতঃ তিনটি কি চারটি কষ্টের কথা ( কমপ্লেন) লেখা হয় এবং তা হয় গুরুত্ব অনুপাতে পর পর । যেমন জ্বর ১০ দিন, কাশি ৭ দিন, বুকে ব্যথা ৫ দিন, শ্বাসকষ্ট ৫ দিন । অথবা সারা শরীর বিশেষ করে মুখ ফোলা ৫ দিন, প্রস্রাব কম হওয়া ৩ দিন বা জ্বর ৭ দিন, অরুচি ৭ দিন, বমির ভাব • দিন, ডানদিকের উপর-পেটে ব্যথা ৪ দিন, ন্যাবা ৩ দিন ইত্যাদি ৷ বর্তমান কণ্ঠের বিবরণ ( History of Present illness ) তারপর অসুখের বিবরণ লিখতে হবে যাকে বলা হয় বর্তমান অসুখের ইতিহাস ( History of Present illness)।