এই উপন্যাসে রয়েছে প্রিয়ন্তীর হোমিওপ্যথির শিশিতে ভরা জিনের গল্প। রয়েছে এক অসম বয়সী দম্পতি-ও। কবি অদ্রি অনার্য নেশাগ্রস্ত হয়ে উপস্থিত হয় এই উপন্যাসে। এক শিশু খুন হয়। এক নারী খুন হয় কিংবা আত্মহত্যা করে কিংবা মারা যায় দূর্ঘটনায়। গল্পে যোগ দেয় এক মোবাইল চোর, সন্দেহপ্রবণ এক স্বামী, পুলিশ অফিসার আমিরুল, বেকার আজিজুল, পীর বংশের রাজিব। তবে, এসব ছাপিয়ে প্রধান চরিত্র হিসাবে থাকে এই শহরের ছতলা এক বাড়ি। একরাশ পাপ আর অন্ধকার নিয়ে দাঁড়ায়ে থাকে ঠায়।
এই উপন্যাস সেইসব পাপ, অন্ধকার, আর ভয়ের-ই আখ্যান। আসমার ওসমান-এর লেখার সাথে যারা পূর্ব পরিচিত তারা জানেন এই লেখকের লেখাকে কোন বিশেষ ঘরানায় খেলা মুশকিল। তার লেখায় হরর থাকে, রহস্য থাকে, আতি প্রাকৃত থাকে; আবার থাকে সমাজ, প্রেম, নারী-পুরুষের বিচিত্র সব সম্পর্ক। সবমিলিয়ে বিচিত্র তার আখ্যান জগৎ। তবে ঘারানা যাই হোক-আসমার ওসমান এর লেখা পাঠককে কী মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে; করে রাখে মোহাবিষ্ট। তিনি পাঠককে চমকে দেন, ভীত করেন, ভাবতে বাধ্য করেন।
যারা আসমার ওসমান-এর লেখা আগে পড়েননি, তাদের যাত্রা শুরু হতে পারে এই বইটি দিয়েই। বাড়ি-সিরিজে এটি লেখককের দ্বিতীয় বই। আগের বইটির নাম ছিল - ‘এই বাড়িটা ভালো না’। গত ২০১৪ সালে বেরোনো ভয়ের ঐ উপন্যাসটিও পাঠকপ্রিয় হয়। এবারের ‘এই বাড়ির যত পাপ’ এর সাথে ঐ বইটির কাহিনীর কোন ধারাবাহিকতা নেই। তবে, আগ্রহী পাঠক সংগ্রহ করতে পারেন ঐ বইটিও ( লিংক: http://rokomari.com/book/76506 )
Author info আসমার ওসমান। জন্ম এবং বেড়ে ওঠা ঢাকায়। লেখেন খুব অল্প, কিন্তু পাঠক সমাদৃত। বিচিত্র সব বিষয় নিয়ে তার আখ্যান জগৎ। হরর জনার-এ যেমন তিনি রীতিমত অনুসরণীয়, তেমনি সিদ্ধহস্ত মানবিক বিবরণীতেও। চারটি উপন্যাস, পাঁচটি ছোটগল্প সংকলনসহ মোট ষোলটি প্রকাশিত গ্রন্থ তার। জাগৃতি প্রকাশনী এবং বিদ্যাপ্রকাশ থেকেই বেরিয়েছে তার বেশিরভাগ বই।অর্থনীতি শাস্ত্রের কৃতি শিক্ষার্থী আসমার পেশাগত জীবনে একজন সমাজ-অর্থনীতি বিষয়ক গবেষণা-পরামর্শক। ঢাকার ছ’তলা এক ভবনের ছ’তলায় যৌথ পরিবার নিয়ে তার সংসার। বাসাভর্তি বই। ব্যাংকার স্ত্রী এবং একমাত্র পুত্র সন্তানকে নিয়ে তার দিন চলা।