আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় রান্না একটা অপরিহার্য বিষয়। রুচি, পুষ্টিমান এবং খরচ। এই তিনটি বিষয়ের সাথর্ক সমন্বয় ঘটাতে পারলেই সাথর্ক রান্না উপহার দেয়া যায়। তখনই, আমরা বলতে পারি রান্নাটা ভাল হয়েছে, বেশ মজাদার, পরিবারের সকলের স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ উপকারী, খরচও তেমন। হয়না। তাই এই বিষয়ে জ্ঞান অর্জন এবং নিত্য নতুন আবিষ্কৃত খাবারের সংগে পরিচিত হওয়াও অত্যন্ত জরুরী। আধুনিক জীবনযাত্রায় সবাই কর্মব্যস্ত, তাই মানুষ এখন ঝুকছে ফাস্ট ফুডের দিকে। তারপরেও পরিবারের শিশু কিশােরদের কথা চিন্তা করে গৃহের রান্নার প্রয়ােজনীয়তা একেবারে বাদ দেওয়া কোন প্রকারেই সম্ভব নয়। একারণেই ভাল রানা জানা এবং পারিবারিক অনুষ্ঠানাদিতে তদারকি করা। বা ভাল রান্না উপহার দেওয়া পরিবারের সুনামের সাথে জড়িত বিধায় রান্নার বিষয়ে দক্ষতা অপরিহার্য। পরিবারের রান্নার সাখে রান্না ঘরে গৃহিনীর নিরাপত্তার দিকটি সকলকে ভাবতে হবে। এ বিষয়ে অত্র বইয়ে বেশ কিছু প্রয়ােজনীয় এবং লক্ষ্যণীয় টিপস দেওয়া হয়েছে। মনে রাখতে একটি দুর্ঘটনার কুফল সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হয়। তাই নিরাপত্তার দিকটি কোন প্রকারে এড়িয়ে যাবার নয়। বইয়ের মধ্যে একই বিষয় দু’বার উল্লেখ থাকার মত কিছু মনে হতে পারে কিন্তু ভালভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে। রান্নার প্রণালীর এবং স্বাদের ভিন্নতাও রয়েছে। আপনিও প্রয়ােজনীয় রান্নার টিপস সংরক্ষণ করলে এক সময় আপনার সংগ্রহের সম্ভারও বেড়ে যাবে এবং স্বাদের ভিন্নতাও উপভােগ করতে পারবেন। পরিশেষে একটি ব্যক্তিগত অভিমত প্রকাশ না করছে পারছি না। যেটা আমার মনের মধ্যে সব সময়ে আগ্নেয়গিরির লাভার মত জ্বলতে থাকে। তা হলােদেশের জনসংখ্যার তুলনায় কষিজমির পরিমাণ অত্যন্ত কম। মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলাের মত বিশাল পশুচারণ ক্ষেত্রও নেই। কিন্তু জনসংখ্যার উপযুক্ত শিক্ষার মানও নেই। সেই সাথে নেই পর্যাপ্ত পুষ্টি . . । যার ফলে অনেক শিক্ষিত লােকও অপুষ্টিতে ভােগে। বিশ্বের যে কোন দেশের তুলনায় আমাদের দেশের মানুষ অত্যন্ত স্বাস্থ্যহীন। আমরা সকল প্রকার প্রতিযােগিতা এবং খেলাধুলায় যথেষ্ট পিছিয়ে। তাই আমাদের খ্যাদ্যাভাস পাল্টানাে অত্যন্ত জরুরী। মনে রাখতে হবে- ঘরে ঘর দুর্বল সন্তান অনুন্নত জাতি। ঘরে ঘরে সবল সন্তান উন্নত জাতি। পাঠক-পাঠিকা এবং আপামর জনসাধারণের আন্তরিক সহযােগিতা এ সমস্যা। থেকে উত্তরণ সম্ভব।