আবদুল হাই মিনারের এসব অদ্ভুত সুন্দর ‘ভুতুড়ে-বিজ্ঞান রহস্যগল্প' উভয় বাংলার পাঠক-মহলে অত্যন্ত সমাদৃত হয়েছে। নিভৃতচারী লেখক তিনি। নীরবে নিভৃতে অনেকদিন ধরে চমৎকার সব গল্প উপন্যাস লিখে চলেছেন। তাঁর গল্পে স্থানিক-পরিবেশ-বর্ণনা এত জীবন্ত যে বেশিরভাগ পাঠকই সে সব কল্পিত স্থানে একবার বেড়িয়ে আসার ইচ্ছা নিজেদের অজান্তেই ব্যক্ত করে বসেন। তাঁর সৃষ্ট চরিত্রগুলােও চমৎকার। এক্ষেত্রে কুটি-কবিরাজ’ তাে এক কথায় দুর্ধর্ষ! সত্যজিৎ রায়ের যেমন প্রফেসর শঙ্কু, নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের টেনিদা’, প্রেমেন্দ্র মিত্রের ঘনাদা’ কিংবা জেমস্ ফেনিমাের কুপার-এর ন্যাটি বাম্পাে, আবদুল হাই মিনারেরও তেমনি কুটি-কবিরাজ। অতীব বিচিত্র ঘটনা প্রত্যক্ষ করার ও করানাের ওস্তাদ যদি কাউকে বলতে হয়, তাে, সে অই কুটি-কবিরাজ! কুটি-কবিরাজের ব্যাপারে বাল্যবন্ধু কর্ণেল (অবঃ) মুনতাসির হায়দার বলছেন, তার এসব অতীব বিচিত্র ঘটনাগুলােকে এখন আর আমি অবজ্ঞা করে উড়িয়ে দিই না। এতদিনে টের পেয়েছি কুটি-কবিরাজের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের পরেও আরেকটি ইন্দ্রিয় আছে, যেটি তাঁকে বিচিত্র সব কাণ্ডকারখানার সন্ধান দিয়ে বেড়ায়। কুটিকে আমি শ্রদ্ধা করি।' আবার তন্ত্রসাধক মাধাে-সর্দারের যােগ-গণনায়ও ধরা পড়েছে, পৃথিবীর মাত্র একশত অতিন্দ্রিয়যুক্ত (ইএসপিধারী) মানুষের মধ্যে কুটি-কবিরাজও একজন। ফতেহগড়ের তান্ত্রিক' গ্রন্থে কৌতুহলী পাঠক কুটি-কবিরাজের দুর্ধর্ষ সব কাণ্ডকারখানার মুখােমুখি হয়ে রােমাঞ্চিত হবেন, এতে কোনাে সন্দেহ নেই।