"বাচ্চা খেতে না চাইলে কি করবেন" বইয়ের ফ্ল্যাপের অংশ থেকে নেয়া: সন্তানের খাওয়া-দাওয়া নিয়ে মা-বাবার দুশ্চিন্তার শেষ নেই। বেশিরভাগেরই অভিযােগ বাচ্চা খেতে চায় না। আবার অনেকে চিন্তিত বাচ্চার ওজন, উচ্চতা নিয়ে। এক্ষেত্রে খাওয়া মােটামুটি ঠিক থাকলেও বাচ্চা কেমন যেন শুকিয়ে যায়। এসব দুশ্চিন্তা লাঘবে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন পরামর্শ নিয়েও যখন উপকার পান না তখন ছুটে যান ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার সাহেব বিভিন্ন টেস্ট করিয়ে কিছু ওষুধ লিখে দেন ঠিকই কিন্তু এসব উদ্বিগ্ন মা-বাবার সাথে দীর্ঘক্ষণ। বসে তাদের যে মূল সমস্যা অর্থাৎ পুষ্টিজ্ঞান ও বাচ্চাকে খাওয়ানাের কৌশল কেউই বলে দেন না। আসলে বলে দেয়ার মতাে ফুরসৎও পান না। তাই মায়েরা বিভ্রান্ত হয়ে ছুটতে থাকেন এখান থেকে ওখানে। টিভিতে বাহারী বিজ্ঞাপন আর চটকদার অফার মা-বাবার বিভ্রান্তি আরও বাড়িয়ে দেয়। এই সকল বিভ্রান্তি আর দুশ্চিন্তা লাঘব করবে এই গ্রন্থ। এই গ্রন্থ পড়লে মা-বাবারা জানতে পারবেন বাচ্চাকে খাওয়ানাের কৌশল। রুচি বাড়ানাের উপায় । ওজন বাড়ানাের খাবার। কোন বয়সে কতটুকু খাবার দিবেন। কতটুকু পানি-লবণ খাওয়াবেন। বুকের দুধ না পেলে কি করবেন। অসুস্থ বাচ্চাকে কি খাওয়াবেন ইত্যাদি। মােটকথা, সহজ সরল ভাষায় লেখা এই বইটি হতে পারে শিশুর পুষ্টি ও বুদ্ধির সম্পূর্ণ গাইড।
ডা. আবু সাঈদ শিমুল, জন্ম চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার লড়িহরা গ্রামে। মা-রোকেয়া বেগম, বাবাআবুল কাশেম চৌধুরী। এমবিবিএস পাশ করেছেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে । বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত আছেন। ডা. আবু সাঈদ শিমুলের শিশু স্বাস্থ্য বিষয়ক লেখালেখির শুরু ছাত্র অবস্থা থেকেই। তা আরও বেগবান হয় একটি জাতীয় দৈনিকের স্বাস্থ্য পাতার বিভাগীয় সম্পাদক হওয়ার পর থেকে । সময়ের সাথে সাথে লিখতে থাকেন। দৈনিক প্রথম আলো, সমকাল, সকালের খবর, আমার দেশ, ডেইলি স্টার সহ অসংখ্য পত্রিকায় । লিটেল ম্যাগাজিন সম্পাদনা ও সাংবাদিকতা করেছেন ছাত্র অবস্থায়। লেখালেখি ছাড়াও বিতর্ক ও আবৃত্তিতে লেখক সমান পারদর্শী । ২০০০ সালে জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের সব মেডিকেল কলেজের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বক্তা হন। প্রতিষ্ঠা করেন সিলেট মেডিকেল কলেজ ডিবেটিং ক্লাব। সিলেট জেলা ডিবেটিং সোসাইটিরও সভাপতি ছিলেন তিনি। আবৃত্তিতে জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কৃত হয়েছেন। এ পর্যন্ত লেখকের স্বাস্থ্যু বিষয়ক তিনটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে এবং সবগুলোই পাঠকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। ব্যক্তিগত জীবনে ডা. আবু সাঈদ শিমুল এক সন্তানের জনক (ইয়াদ বিন সাঈদ)। তার সহধমীনী ডা. ফারহানা হােসেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ এবং একটি মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক।