"ছায়াবীথির জঙ্গল রহস্য " বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: রাফিদের বাবা নেই। জীবিকার প্রয়ােজনে দেশের বাইরে যেয়ে আর ফিরে আসেন নি। কয়েক বছর পরে জানা যায় সেখানে তিনি আবার বিয়ে করে নতুন সংসার পেতেছেন। রাফিদের মা মিতু ওকে নিয়ে নতুন করে সংগ্রাম শুরু করেন। রাফিদকে ওর বড় বােনের কাছে ঠাকুরগাঁয়ে রেখে মিতু ঢাকায় একটা প্রাইভেট ফার্মে চাকরি নেন। পরিচয় হয় রাশেদ নামের একজনের সাথে। এরপর তাকে বিয়ে করে গাজীপুরের ছায়াবীথিতে রাশেদের কেনা নতুন বাড়িতে ওঠেন। নিয়ে আসেন রাফিদকে। সেখানে রাশেদের কলেজ পড়ুয়া বােন বাবলি রাফিদকে বেশ আপন করে নেয়। নতুন স্কুলে ক্লাস সেভেনে ভর্তি হয় রাফিদ। পরিচয় হয় নতুন সব বন্ধুদের সঙ্গে। ক্লাসের সবচেয়ে দুষ্টু ছেলে বিজুর থেকে রাফিদকে একশ হাত দূরে থাকতে বলে নতুন বন্ধুরা। কেননা বিজু অসম্ভব মারকুটে একটি ছেলে। কিন্তু একটা বিশেষ ঘটনার মধ্য দিয়ে রাফিদের সাথে বিজুর বন্ধুত্ব হয়ে যায়। হঠাৎ নিরুদ্দেশ হয়ে যায় বিজু। নতুন এক তথ্যের সন্ধানে রাফিদ আর বাবলি বাড়ির পরিত্যাক্ত রুমে ঢুকে সেখানে আবিষ্কার করে বিজুকে। তারা নিশ্চিত হয় এই বাড়িতে ঢুকবার জন্য আলাদা গােপন পথ আছে। ওরা সেই পথ আবিষ্কার করতে গিয়ে পুলিশের খাতায় মােষ্ট ওয়ান্টেড স্মাগলার শম্ভ চাদকে পেয়ে যায়। শম্ভ চাদকে পুলিশ ওদের সহযােগিতায় গ্রেফতার করার পর রাফিদ আর একটি সূত্র ধরে গাজীপুরের রাজ পরিবরের ইতিহাস ঘেটে চমকপ্রদ এক তথ্য আবিষ্কার করে ফেলে । আর সেই তথ্যের পথ অনুসরণ করে পৌনে তিনশত বছরের পুরােনাে তুঘলকী সােনার মােহর আবিষ্কার করে ফেলে সবাইকে আরেক দফা চমকে দেয় রাফিদ। মুহূর্তে মুহূর্তে সাসপেন্সের ভেতর দিয়ে রাফিদের বুদ্ধিমত্তায় আর বাবলি আর বিজুর সহযােগিতায় ওদের এই আবিস্কার চারদিকে বিশাল এক আলােড়ন সৃষ্টি করে।