"দিওয়ান-ই-শামস্ তাবরিজ" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ এই গ্রন্থের মাঝে ভালােবাসার প্রেমিক মুর্শিদ শামস্ তাবরিজকে সম্বােধন করেছেন সুফিতত্ত্বের কলস্বরা বুলবুলি, প্রেমিক কুলের স্যাট মাওলানা জালালুদ্দীন রুমি (রা.)। প্রেমাস্পদের সাথে মহামিলনের অবিরাম আকিঞ্চন পুনর্ব্যক্ত হয়েছে তাঁর দিওয়ানের ছত্রে ছত্রে। মুলসত্তার সহিত পুনর্মিলনের প্রয়াস বা মিলনই হল প্রেম। তাই মহাপ্রেমিক রুমির উদাত্ত আহ্বান ও আন্তরিক ঘােষণা শামসে তাবরিজে কে নূরে মােতলাকাস্ত আফতাবাস্তো যে আনওয়ারে হকান্ত শামস্ তাবরিজ রহিমাহুল্লাহ্ যিনি কামেল নূর, তিনি একটি দীপ্তিমান সূর্য ও আল্লাহর নূর। আশেক-মাশুকের সমস্ত আকুতি নিবেদন ও মিলনের অযুত বাসনা-রসনার জীবন্ত প্রতিচ্ছবি মাওলানা রুমির এই গ্রন্থের সর্বত্রই ফুটে উঠেছে। রুমি বলেন হাদীস রােযে শামসুদ্দীন রসীদ শামসে চারম আসমা সার দর কাশীদ ঘটনাক্রমে আমার কথা যখন শামস্ তাবরিজ পর্যন্ত পৌঁছল, তখন চতুর্থ আসনের সূর্য লজ্জায় আত্মগােপন করল। ভাব-ভঙ্গিতে সূর্য বলছে, তার সামনে আমার কি মূল্যহু তঠ তাে শুধু দেহকে আলােকিত করে থাকি, আর শামস তাবরিজ কলবকে আলােকিত করেন। তাই আশেকের পরিচয় দিয়ে রুমি নীচের বয়েতে বর্ণনা করেনইল্লতে আশেক যে ইল্লহা জুদাস্ত এশক উত্তরলাবে আসরে খােদাস্ত অর্থাৎ আশেকের রােগ (প্রেম) অন্যান্য রােগ হতে পৃথক, ইশকে এলাহী আল্লাহর রহস্যসমূহ অনুধাবনের যন্ত্র। এ সমস্ত প্রেমিক মহাপুরুষগণ যেন স্রষ্টাপ্রেমের নিদর্শন নিয়ে পৃথিবীর নানা প্রান্তে প্রকাশমান। প্রত্যেক মহাপুরুষগণ একটি সময় পর্যন্ত এ ধরণীতে অবস্থান করেন এবং তাঁর অর্পিত কর্তব্য সম্পাদন করে স্রষ্টার সান্নিধ্যে গমন করেন। মুরশিদ প্রেমের বিশ্বপ্রসিদ্ধ সুফিতত্ত্ববিদ মাওলানা রুমি শামস্রে অমর গাঁথাকে সমগ্র বিশ্বে নজীর স্বরূপ উপস্থাপন করেছেন তাঁর রচিত দিওয়ানের মাধ্যমে। তাই তাঁর রচিত সমস্ত প্রেমতত্তমূলক দিওয়ান সমূহের তাত্ত্বিক ভেদমূলক গ্রন্থ দিওয়ানে শামস তাবরিজ অধ্যয়ন করে পাঠক-ভক্তগণ খুঁজে পাবেন সত্য পথের সন্ধান।
সৈয়দ মোস্তাক আহ্মাদের জন্ম ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর গ্রামে। তার পিতা মাওলানা মুহাম্মদ তমিজ উদ্দীন (র.) ছিলেন একজন পীর ও আধ্যাত্মিক পুরুষ। তার মাতা মনোয়ারা বেগমও ছিলেন সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে আগত। এরকম সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান মোস্তাক আহ্মাদ এর ভাগ্য যেন নির্ধারিতই ছিল যে তিনি বড় হয়ে ধর্ম ও সুফি দর্শন নিয়ে লিখবেন। পারিবারিক ঐতিহ্যের কল্যাণে শৈশব থেকে তার ধর্মীয় শিক্ষার ভিত মজবুত হয়। পাশাপাশি সুফি দর্শন, মরমী দর্শন, আধ্যাত্মিকতা ইত্যাদি বিষয়েও পারিবারিকভাবে শিক্ষা লাভ করেন। তাই তো মোস্তাক আহ্মাদ এর বই সমূহ আধ্যাত্মিকতা ও দর্শন থেকে শুরু করে ধর্মীয় ইতিহাস, অনুশাসন, আত্মোন্নয়ন, মানবজীবন ও দর্শন ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান ও অনুপ্রেরণার অফুরন্ত উৎস। মোস্তাক আহমাদ একজন দক্ষ মোটিভেটর। মেডিটেশন ও নানাবিধ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এবং ব্যক্তিগত উন্নয়ন সাধন করতে সক্ষম। বর্তমানে ‘ড্রিমওয়ে ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ’ এর ড্রিমওয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তথা সিইও হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি। মানবোন্নয়ন, ব্যক্তিক উৎকর্ষ সাধন, সুফি ও মরমী দর্শন নিয়ে দেড় শতাধিক পাঠকপ্রিয় বই লিখেছেন তিনি। মোস্তাক আহমাদ এর বই সমগ্র ব্যক্তিজীবনে সমৃদ্ধি ও সাফল্যের চূড়ায় আরোহণের প্রেরণা দেয়, ব্যক্তিমনের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের পথ দেখায়, সাফল্যের আকাঙ্ক্ষা ও ক্ষুধা জাগ্রত করে। ‘দ্য ম্যাজিক অব থিংকিং বিগ’, ‘বুদ্ধি ও বিনিয়োগ শেয়ার ব্যবসায় সেরা সাফল্য’, ‘মেধা বিকাশের সহজ উপায়’, ‘ইতিবাচক চিন্তার শক্তি’, ‘বিজনেস স্কুল’, ‘মাওলানা রুমীর আত্মদর্শন’, ‘লালন সমগ্র’, ‘টাকা ধরার কৌশল’, ‘দিওয়ান-ই-হাফিজ’, ‘দিওয়ান-ই-শামস তাবরিজ’, ‘আত্মোন্নয়ন ও মেডিটেশন’ ইত্যাদি তার কিছু জনপ্রিয় বই।