কবিকথন স্বদেশের প্রতি প্রীতি নেই এমন মানুষ চিরুনীতালাশ করে একজনও খুঁজে পাওয়া যাবে না পৃথিবীতে। আমরা আমাদের দেশটাকে প্রাণপণ ভালবাসি। এ ভালবাসা একান্ত নিখাদ। স্বদেশের দুর্দমনীয় কুক্ষণে তরুণ প্রজন্ম জ্বলে ওঠে জ্বলন্ত অগ্নীকুন্ডের মতো।
একটা যুদ্ধার্জিত স্বাধীন দেশে বসবাস আমাদের। অথচ এখনো এদেশে অশুভ হাত আড়াল করতে আসে আঁধারনাশক প্রদীপ্ত আলো। এখনো ন্যায়বিরোধী যুদ্ধ চলছে যত্রতত্র। আমরা চাই রুদ্রদিনের আলোকছটায় পরাজিত হোক রাতের কালো। শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্ঘ্য উৎসর্গ করি তাদের উদ্দেশ্যে, যারা দেশদ্রোহীর পৈশাচিক পতন ঘটাতে বিপন্ন করেছে নিজের জীবন। বাঁধি তাদের আত্মীয়তার অটুট বাঁধনে। বুকের ভেতর জমা হয় ভালবাসা- সমাজ পাল্টাবার স্বপ্ন বিভোর ভাইয়ের জন্য, জানালায় অপেক্ষমান মায়ের জন্য, ক্রন্দনসিক্ত বোনের জন্য, অনাগত সন্তানের জন্য। স্বামীর স্বপ্ন পূরণ করতে নিবেদিত প্রাণ হয় স্ত্রী, পিতার আদর্শকে টিকিয়ে রাখতে মরিয়া হয়ে ওঠে তেজদীপ্ত তরুণ।
কখনো কখনো জগতের যাবতীয় অন্ধকার দেখে নিজেকে বড়োবেশি বন্দি বলে মনে হয়। মনে হয় যেন চামচিকার গন্ধ বিদগ্ধ অন্ধ গুহায় কাটছে জীবন। তখন মুখের ভেতর থুতু, বুকের ভেতর দানা বাঁধে ঘৃণা। তখন কেবল প্রতীক্ষিত থাকি সে মানুষটির; যে সত্যের সন্ধানী, মিথ্যার বিনাশকারী। যে জ্বলে উঠতে পারে আপন শক্তিতে। খুঁজে ফিরি সেই গুরুকে, যার অন্ধাকার দূরীভূতকারী অনল থেকে বঞ্চিত হয় না শিষ্যের মশাল। যাদের অকৃপণ উৎসাহে বইটি মলাটবন্দি হয়ে আলোর মুখ দেখেছে, তাদের প্রত্যেককে জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ভালবাসা। প্রকাশনার দায়িত্ব গ্রহণ করায় বিভাস সম্পাদক রামশংকর দেবনাথকে ধন্যবাদ। সমস্ত কিছুর নেপথ্যে আছেন মহান আল্লাহ, যিনি সর্বশক্তিমান।
আকিব শিকদার। জন্ম কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর থানাধীন তারাপাশা গ্রামে, ০২ ডিসেম্বর ১৯৮৯ সালে। প্রফেসর আলহাজ মোঃ ইয়াকুব আলী শিকদার ও মোছাঃ নূরুন্নাহার বেগম এর জ্যেষ্ঠ সন্তান। স্নাতক পড়েছেন শান্ত-মরিয়ম ইউনিভার্সিটি থেকে ফ্যাশন ডিজাইন বিষয়ে। পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে স্নাতক ও স্নাতোকোত্তর। খন্ডকালীন শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু। সাহিত্য চর্চায় উৎসাহ স্বরুপ পেয়েছেন হোসেনপুর সাহিত্য সংসদ প্রদত্ত “উদ্দীপনা সাহিত্য পদক”, “সমধারা সাহিত্য সম্মাননা” । লেখালেখির পাশাপাশি সঙ্গীত ও চিত্রাংকন তার নেশা।