তীব্র শীত চারদিকে । পলিনারই-এর নর্দার্ন ফ্লিট সাবমেরিন বেইস-এ এখন মোটামুটি আর্কটিকের আবহাওয়া । ভয়াবহ ঠান্ডা । ক্যাপ্টেন ফাস্ট র্যাঙ্ক মার্কো রেমিয়াস ঠান্ডা ঠেকানোর জন্যে বেশ ভালো রকম কাপড় পরে নিয়েছেন । পাঁচ পরতের উল আর অয়েলস্কিন কাপড়ে মোড়া একটা পুতুল মনে হচ্ছে রেমিয়াসকে । ক্যাপ্টেনের সাবমেরিনের নাম রেড অক্টোবর। ময়লা গোছের হার্বার টাগ দিয়ে সারমেরিনটাকে পানিতে নামানো হচ্ছে। গত দু' মাস যে ডকে রেড অক্টোবরকে রাখা হয়েছে তা এখন পানিতে ভরপুর । রেড অক্টোবরের জন্যে বিশেষ ধরনের ডক ব্যবহার করা হয়েছে। যেসব সাবমেরিনে মিসাইল থাকে সেগুলোর জন্যে বিশেষ ধরনের এই ডকের ব্যবস্থা । ডকের মাথায় ডকইয়ার্ড শ্রমিক আর নাবিকরা দাঁড়ানো । সবাই রেড অক্টোবরের পানিতে নামা দেখছে । নতুন, একেবারে নতুন একটা সাবমেরিন পানিতে নামছে অথচ কোথাও কোনো হৈ হুল্লোড় নেই। সবাই চুপচাপ দর্শক। শুধু এটাই রাশিয়ানদের ধরন। “ইঞ্জিনস অ্যাহেড স্লো, কামারভ' অর্ডার করলেন মার্কো রেমিয়াস। টাগগুলো পিছলে পথ থেকে সরে গেল । রেমিয়াস সাবমেরিনের পেছন দিকে তাকালেন । দুটো ব্রোঞ্জ প্রপেলার ঘুরছে, পানি ছিটাচ্ছে। যে কমান্ডার টাগ নিয়ন্ত্রণ করছিলেন তিনি রেমিয়াসের দিকে হাত নাড়লেন। রেমিয়াসও উত্তর দিলেন । টাইফুন ক্লাস সাবমেরিন রেড অক্টোবর চলা শুরু করল মেইন শিপ চ্যানেল কোলা ফোর্ডের দিকে । একটা ‘পারগা’ দেখা যাচ্ছে, ক্যাপ্টেন বলেই গ্রেগরি কামারভ একটা আইস ব্রেকারের দিকে আঙুল তুললেন। সাবমেরিনের সামনেই আপাতত আইস ব্রেকারটা থাকবে। আইস ব্রেকারটার দিকে তাকালেন রেমিয়াস। মেইন শিপ চ্যানেল পেরুতে আর ঘণ্টা দুয়েক সময় লাগবে । পুরো সময়টাই ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হবে রেমিয়াসকে ।
টম ক্ল্যান্সি : জন্ম এবং বেড়ে ওঠা আমেরিকার মেরিল্যান্ডে। ব্যক্তিগত জীবনে তিন সন্তানের জনক এবং তিনি একজন স্বাধীন ব্যবসায়ি। তিনি কম্পিউটারে আসক্ত একজন মানুষ। দক্ষ একজন ওয়ারগেমার। এই বইটি তার প্রথম উপন্যাস। মানিক চন্দ্র দাস : জন্ম কুমিল্লায় তারপর বাকিটুকু। ঢাকায় স্কুল শেরে বাংলানগর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, কলেজ সরকারি বিজ্ঞান কলেজ। বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত। প্রিয় লেখক দেশের ভেতরে আহসান হাবীব এবং দেশের বাইরের অনেকেই অবসর কাটে ছবি এঁকে, বই পড়ে আর ঘােরাঘুরি করে।