আধুনিক বিশ্বে মার্কেটিং জগতের সবচেয়ে বড় অংশ হচ্ছে ইন্টারনেট মার্কেটিং। আর এই ইন্টারনেট মার্কেটিং এর একটি শক্তিশালী মার্কেটিং পদ্ধতির নাম হচ্ছে “ইমেইল মার্কেটিং” বা সরাসরি বিপণন ব্যবস্থা। ইমেইল এর পূর্ণনাম হল ইলেকট্রনিক মেইল। ১৯৬০ সালে প্রথম ইমেইল কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। তারপর থেকে দিন দিন এর প্রভাব এতটাই বেড়ে চলছে যে যোগাযোগ ব্যবস্থার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হিসাবে ইমেইলকে ধরা হচ্ছে। বর্তমানে ইমেইলকে শুধু অফিস বা ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমই মনে করা হচ্ছে না, এখন ইমেইলকে অনলাইন মার্কেটিং এর কার্যকারী মাধ্যম হিসাবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। খুব সংক্ষিপ্তভাবে যদি “ইমেইল মার্কেটিং” সম্পর্কে বলতে হয়, তাহলে বলতে হবে ইমেইল আদান-প্রদান এর মাধ্যমে কোন পণ্য বা সেবার বিপণন ব্যবস্থা। তারমানে, ইমেইল মার্কেটিং বা সরাসরি বিপণন ব্যবস্থা হল মার্কেটিং-এর এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে সরাসরি কাস্টমারের ইমেইলে কোন পণ্য বা সেবার বিবরণসহ পণ্য সম্পর্কিত অন্যান্য তথ্যাবলী প্রেরণ করা। যার ফলে কোন কাস্টমার ওই পণ্য বা সেবা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণাগুলো ইমেইলের ইনবক্সেই পেয়ে যান এবং তিনি পণ্যটি কিনতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। ইমেইল মার্কেটিং ব্যবহার করে প্রতিদিন দেশ-বিদেশের হাজার হাজার কোম্পানি তাদের পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। কোম্পানির একদিকে যেমন বাড়ছে বিক্রয়ের পরিমাণ, তেমনি সম্প্রসারিত হচ্ছে তাদের সুনাম ও খ্যাতি। নিজের পন্য বিক্রি ছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য বা সেবার এফিলিয়েশনের মাধ্যমেও আয় করতে পারেন। এছাড়া ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতেও দিন দিন বাড়ছে ইমেইল মার্কেটিং-এর কাজ। মার্কেটপ্লেসগুলোর তথ্যানুযায়ী, ইমেইল মার্কেটিং এ একজন ফ্রিলান্সার মাসে ৫০ হাজার টাকা থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। ক্ষেত্রবিশেষে এই আয় কয়েক হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে। আর এ হিসাবে ফ্রিল্যান্সার হতে চাওয়া তরুণ-তরুণীদের অন্যতম পছন্দ হতে পারে ইমেইল মার্কেটিং।