বিপজ্জনক অভিযান দিন পাঁচেক ঢাকায় পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফিরে যাচ্ছেন মেজর এরশাদ হাবিব। একটু আগে রাঙামাটির রিজার্ভ বাজারের একটা ঘাট থেকে তাঁকে নিয়ে শুভলংয়ের দিকে রওনা দিয়েছে একটা স্পিডবােট । ঘণ্টাখানেক লাগলাে শুভলং ঘাটে পৌছতে। পাশেই পাহাড়ের ওপর একটা সেনা ছাউনি। সেটার অধিনায়ক মেজর এরশাদ হাবিব। অফিসার্স মেসে এসে ফ্রেশ হয়ে ইউনিফর্ম পরে সােজা অফিসে গিয়ে বসলেন মেজর এরশাদ হাবিব। একটু পরই ক্যাপ্টেন শাকিল আজম এসে স্যালুট করে সটান দাঁড়িয়ে রইলেন অধিনায়কের সামনে। বসাে, এদিকের সব খবর কী, শাকিল?'- বুললেন মেজর এরশাদ হাবিব। ক্যাপ্টেন শাকিল আজম জানালেন এখানকার সব খবরাখবর ভালােই। তারপর বললেন, আজ সকালে মং এসে আপনার খোঁজ করছিল, স্যার। ওকে বলেছি আজকে আপনি আসতে পারেন। আশপাশেই থাকবে বলে গেছে ও। মং মেজর এরশাদ হাবিবের একজন বিশ্বস্ত সাের্স। আটাশ-উনত্রিশ বছরের পাহাড়ি যুবক। ওর আসল বা পুরাে নাম কেউ জানে না। এমনকী মেজর এরশাদ হাবিবও জানেন না। মাঝেমধ্যেই খবর নিয়ে মং সেনা ছাউনিতে আসে। ওর সব খবর প্রায়ই নির্ভুল হয়। মংয়ের কাছে নিশ্চয়ই কোনাে খবর আছে, মনে মনে ভাবলেন মেজর এরশাদ হাবিব। মিনিট পনেরাের মধ্যেই মং এসে হাজির হলাে। হ্যা মং, বলাে কী খবর আছে। তােমার কাছে?'- সরাসরি জানতে চাইলেন মেজর এরশাদ হাবিব। ‘বুইজ্জার পাহাড়ের কাছে বেশ কিছু মানুষের আনাগােনা দেখা যাচ্ছে, স্যার । ওখানে ওরা বাঁশ-টাশ দিয়ে একটা ঘরও বানিয়েছে। বিদেশি কিছু লােকজনও ওখানে আছে বলে মনে হচ্ছে। আমার ধারণা, ওদের কাছে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র আছে, আর কিছু একটা করার জন্য ওরা ওখানে আস্তানা গেড়েছে,' বলল মং। খবরটা দিয়েই বিদায় নিলাে মং। বিষয়টা নিয়ে গভীর ভাবনায় ডুবে গেলেন মেজর এরশাদ হাবিব।আঠারােটি জমজমাট রহস্য গল্প নিয়ে বইটি। প্রতিটি গল্পেই পাঠক মনের অজান্তেই নিজকে জড়িয়ে নেবেন। রহস্য ভেদ করার জন্য তৎপর হয়ে উঠবেন। নিজেই গােয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন।