সূচিপত্র * সাহিত্য, কবিতা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গন * মানবিকতা ও জাতীয় সঙ্কট * ব্যক্তিক, পরিবারিক ও গোষ্ঠী কেন্দ্রিক নির্দয়তা * লেখক, সাংবাদিক ও সংবাদপত্র * নর-নারীর উপাখ্যান * এ কালে বুদ্ধির মুক্তি চাই * মৌলবাদীতা, সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মান্ধতা * সর্বস্তরে অসহিষ্ণুতা * ক্ষমতা ও স্বভাবের বৈচিত্রতা * রক্তাক্ষরে বাংলাদেশ
লেখকের কথা মানুষ প্রেমের পূজারী। প্রেমময় জীবন মানুষকে স্নেহময়ী করে তুলে। সে কাউকে কষ্ট দিতে জানে না। নারীকে তো নয়ই। প্রেমহীন মানুষ স্বভাবত: অত্যাচারী হয়ে থাকে এবং মানুষকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে যায়। সমাজকে করে কলুষিত, জটিল, কঠিন ও কঠোর। মানুষকে সুস্থ থাকতে, সম্পর্ক গভীর হতে, পরস্পরের বন্ধন অটুট রাখতে, মনের কলুষতা দূর করতে, শত্রুকে ভালোবাসতে, ভুল-ত্রুটিকে ক্ষমার চোখে দেখতে, মানবিক সত্তা অর্জনে, আত্মোপলব্দির উন্নয়নে, স্বভাব চরিত্র উন্নত করতে প্রেমই হলো সর্বোচ্চ টনিক। শুধু নারী-পুরুষের প্রেমের কথা বলছিনে। সমগ্র প্রেমময় উপাখ্যানই সমাজ সচেতনে সাবধানী ও অর্থবহ করে তুলে।
আমি কাব্যে ও জীবনে সব সময় প্রগতিশীল, সঙ্কীর্ণতার ঊর্ধে, মানবতার পক্ষে, অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনার এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতির পক্ষে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। আমি দেশ প্রেমে অধিকতর সঞ্জীবিত, সম্পূর্ণরূপে কূপমন্ডুকতার বিরুদ্ধে, গোঁড়ামির বিরুদ্ধে। আমি বাঙালি, কারও সঙ্গে আমার বিরোধ নেই, বিরোধ আছে সাম্রাজ্যবাদ-যুদ্ধবাজদের সঙ্গে। বিরোধ আছে উগ্রজাতীয়তাবাদ তথা ফ্যাসিবাদের সঙ্গে। ভাষা-সংস্কৃতি আমাদের সৃজনশীলতা ও মনোজগতকে বিকশিত করে। এ বিষয়টি চিন্তায় রেখে বাঙালি সংস্কৃতি বিকাশের বিপ্লব ঘটাতে পারি। আমরা সত্যের শক্তিতে সাহসী হবো। আমাদের মন-মানসিকতা তথা মনোজগতটা যাতে সংস্কৃতি নির্ভর হয় তা জয় করার শক্তি আমাদের নিশ্চয়ই আছে। সৃজনশীল লেখার মাধ্যমে দেশের অনিয়ম, দুর্নীতি, রাহাজানি, উচ্ছ্বৃঙ্খলতা ইত্যাদি যেসব নেতিবাচক বিষয় সমাজে জেঁকে বসেছে তা দূর করার চেষ্টা করেছি।
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। মানুষ পরিশোধন নীতির চারটি স্তরে বাস করে। যথা- ব্যক্তি জীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন ও রাষ্ট্রীয় জীবন। প্রতিটি স্তরেই মানুষের মানসিক ও মনস্তাত্বিক অবস্থা একই ধরনের স্বার্থের বন্ধনে আবদ্ব, ধ্যান-ধারনার সাদৃশ্যও একই প্রকৃতির হয়ে থাকে। এই ভাবনাগুলোকেই প্রেমময় ও তাপিত জীবন গ্রন্থে ফুটিয়ে তুলার চেষ্টা করেছি। এই গ্রন্থে বর্ণিত প্রবন্ধ সমূহ রচিত হয়েছে ২০০২ সাল হতে ২০০৬ সাল সময়ের মধ্যে যখন বাঙলার আকাশ গুমোট অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। তাই কালিক বিবেচনায় সহৃদয় পাঠক সচেতন থাকবেন বলে আশা করি। তথ্যগত বা যে কোন ভুল-ভ্রান্তি পরিলক্ষিত হলে বিজ্ঞ পাঠক ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।